আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু করতে যাচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষামূলক চলাচলের আগের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতেই বুধবার (৫ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাতে আগারগাঁও থেকে সাতটি স্টেশন পাড়ি দেয় মেট্রোর কোচ।
শুক্রবার (৭ জুলাই) পরীক্ষামূলকভাবে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য বুধবার মধ্যরাতে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্র্যাক) মো. জাকারিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, পরীক্ষামূলক চলাচলের তিনটি ধাপের প্রথমটি শুরু হবে শুক্রবার অথবা শনিবার। চলতি বছরের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষামূলক চলাচল শেষ করতে চায় ডিএমটিসিএল। এরপরই শুরু হবে এমআরটি সিক্স পুরো লাইনে যাত্রী বহন।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, থিওরিটিক্যালি সব কাজ শেষ হয়েছে; এখন প্র্যাকটিক্যালি ট্রেনটিকে নিয়ে যেতে হবে। এ রুটে মেট্রোরেল চলাচলের দক্ষতার জন্য যে কাজগুলো করা দরকার সেগুলো এখন রাতের বেলা করা হচ্ছে। স্টেশনগুলো ঠিকমতো হয়েছে কী না, লোড নেয়ার যে সক্ষমতা সেটা ঠিক আছে কী না, সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, উড়াল রেল চলাচলের এমন দৃশ্য নগরবাসীর কাছে এখন নতুন নয়। তবে নতুন ঠিকানায় হঠাৎই নগর রেলের হুইসেলের শব্দ আর দৃশ্য দেখে খুশি নগরবাসীও।
তারা জানান, এ রুটে প্রথম মেট্রোরেল চলতে দেখেছেন। এখানে মেট্রোরেল চালু হলে মানুষ সুবিধা পাবে। অনেকে অপেক্ষায় আছেন কবে এ রুটে উড়াল ট্রেন চালু হবে। মতিঝিল থেকে বাসে করে মিরপুর বা উত্তরা যেতে আগে অনেক সময় লাগত। এখন মেট্রোরেল চালু হলে যাতায়াত অনেক সহজ হবে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোর এ পথে স্টেশন রয়েছে ৯টি। এর পরেই বিজয়সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব ও মতিঝিল - এ ৭ টি স্টেশনে বুধবার রাতে মেট্রোরেল চলায় উচ্ছ্বসিত হন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে কাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশেরও বেশি। মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজের অগ্রগতি সাড়ে ৭ শতাংশ। মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।