, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


উল্লাপাড়ায় সকালে বিকেলে পরিবর্তন হচ্ছে কাঁচা মরিচের দাম

  • আপলোড সময় : ০৫-০৭-২০২৩ ০৫:৩৭:৫২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০৭-২০২৩ ০৫:৩৭:৫২ অপরাহ্ন
উল্লাপাড়ায় সকালে বিকেলে পরিবর্তন হচ্ছে কাঁচা মরিচের দাম ফাইল ছবি
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: উল্লাপাড়া বাজারে সকালে বিকেলে পরিবর্তন হচ্ছে কাঁচা মরিচের দাম। বুধবার সকালে পৌর বাজারে ভারতীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। অন্য দিকে দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায়। এদিন বিকেল ৩টায় সরেজমিনে উল্লাপাড়া

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় মরিচের দাম কেজি প্রতি ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কমেছে। পাশাপাশি দেশি মরিচ কেজি প্রতি কমেছে ৫০ টাকা। অথচ মঙ্গলবার এই বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ভারতীয় ৪০০ টাকা কেজি এবং বাংলাদেশী মরিচ ৪৮০ টাকা কেজি। 

বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের কাঁচা মরিচের মূল মোকাম পাবনার বেড়া ও কাশিনাথপুর। সেখানে সকালে বিকেলে মরিচের দাম আদামদানী ভেদে কমছে এবং বাড়ছে। ফলে তাদেরকে উল্লাপাড়ায় বাজারে এনে সেভাবেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কাশিনাথপুর ও বেড়ার ব্যবসায়ীরা বললেন, ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানী করা হলেও তাদের আড়তে চাহিদার তুলনায় ওই মরিচ আসছে অর্ধেক।

উল্লাপাড়া পৌর বাজারের মরিচ ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের মূল মোকাম পাবনা জেলার কাশিনাথপুর ও বেড়া। দুদিন আগে ভারতীয় মরিচ সেখানে একটু বেশি আমদানী হওয়ায় তারা ২৮০ টাকা কেজি দরে কিন্তে পেরেছিলেন। উল্লাপাড়ায় সেই মরিচ ৩২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। গতকাল আড়তে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও মরিচের দাম বেড়ে গেছে। ফলে দাম বাড়া কমার জন্য তারা দায়ী নন। তারা যে দামে কিনতে পারবেন তার সঙ্গে পরিবহন ব্যয় ও কিছু লাভ যোগ করে তারা বিক্রি করছেন।

এ ব্যাপারে পাবনার বেড়া মোকামের আড়তদার বেলাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, এর আগে দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রচন্ড তাপদাহ ওবৃষ্টি না হওয়ায় এ অঞ্চলের চাষীদের লাগানো মরিচের টাল অনেক নষ্ট হয়ে গেছে। আবারও চাষীরা নতুন করে মরিচ লাগালেও সেসব গাছ এখনও বড় হয়নি। আর এতে দেশী মরিচের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। অন্যদিকে সরকার ভারত থেকে মরিচ আমদানী করলেও তাদের আড়তে চাহিদার তুলনায় তা অর্ধেকেরও কম আসছে। ফলে মরিচের দাম সেভাবে কমছে না। আপাততঃ আমদানী করা মরিচের সরবরাহ বাড়াতে পারলেই দাম অনেকটা কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই দুই ব্যবসায়ী।
সর্বশেষ সংবাদ