এক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৪২০ টাকা থেকে কমে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমে যাওয়ায় অনেক কৃষককে কাঁচা মরিচ বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে দেখা যায়। রোববার পার্বতীপুরের বিভিন্ন হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
আজ পার্বতীপুরের হাট হাবড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর, মোমিনপুর ইউনিয়নের যশাই ও হামিদপুর ইউনিয়নের খয়েরপুকুর হাটে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা মণ কাঁচা মরিচ বেচতে দেখা যায়। অথচ এক দিন আগেও প্রতিমণ কাঁচা মরিচ ১৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল।
ফরিদপুর হাটে মরিচ বিক্রি করতে আসা পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, ‘এবার ৩ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। এ পর্যন্ত ৪৫ মণ মরিচ বিক্রি করেছি। প্রথম দিকে ৩ হাজার টাকা করে প্রতিমণ কাঁচা মরিচ বিক্রি করলেও পর্যায়ক্রমে দাম বাড়তে থাকে। শনিবার প্রতিমণ সর্বোচ্চ ১৭ হাজার টাকা বিক্রি করেছিলাম। জীবনে মরিচের এতো দাম কখনো পাননি। এ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি।’
ভাবনীপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামান বলেন, দেড় বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। শনিবার সাড়ে ১৬ হাজার টাকা করে প্রতিমণ মরিচ বিক্রি করেছিলাম। আকাশ ছোঁয়া দাম দেখে অনেকেই আজ কাঁচা মরিচ হাটে এনেছেন। আমদানি বেশি হওয়ায় এক দিনে কমে গেছে মরিচের দাম।
ফরিদপুর হাটের মরিচের আড়তদার মো. ইব্রাহীম আলী বলেন, হাটে ১০ জন আড়তদার রয়েছেন। প্রতিদিন ১০ ট্রাকের মতো মরিচ ওঠে এ হাটে। এখান থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মরিচ পাঠানো হয়। শনিবার যোগান কম থাকায় ১৭ হাজার টাকা মণ কিনেছি। রোববার যোগান বেশি হওয়ায় ও ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি করায় দাম কমে গেছে।
বন্ধু ট্রেডার্সের ম্যানেজার শাহীনুর আলম বলেন, ঈদের আগে ও পরে অনেক চাষিরা শ্রমিকের অভাবে মরিচ তুলতে পারেনি। এ কারণে মরিচের যোগান কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। আজ এক মণ মরিচ সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকায় কিনছেন।
পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাজিব হুসাইন বলেন, পার্বতীপুরে এবার ১১৪ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে মরিচের ফুল আসতে দেরি হয় এবং বৃষ্টির কারণে অনেক গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়। এখন উৎপাদন শুরু হয়েছে আশা করি, মরিচের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।