এবার সুনামগঞ্জে এক রাতের ভারী বর্ষণে জেলা শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে অনেকগুলো ব্যস্ততম সড়ক। পানি ঢুকেছে কোনো কোনো বাসাবাড়িতেও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শহরের মানুষ। এদিকে, ভারি বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৩৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুনামগঞ্জ পয়েন্টে নদীর সুরমার পানি রয়েছে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচে। পাউবো আরো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা, যাদুকাটা, রক্তি, বৌলাই, চেলাসহ জেলার প্রধান প্রধান নদীর পানি বেড়েছে।
এদিকে, জেলার তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা ও আনোয়ারপুর এলাকার সাবমার্জেবল অংশ পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ঈদে বাড়ি থেকে কর্মস্থল ফেরত মানুষসহ এলাকাবাসী।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টা জেলায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। উজানের চেরাপুঞ্জিতেও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
এতে সহসাই সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, নদীর বিপদসীমা অতিক্রম করলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বৃষ্টিপাত বন্ধ হলে পানি দ্রুত কমে যাবে।