মো. আব্দুর রহিম ৫ আগস্টের আগে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। পট পরিবর্তনের পর হয়েছেন শ্রমিকদল নেতা। আগে তুলতেন আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে ছবি এখন তুলছেন বিএনপির নেতাদের সঙ্গে।
আব্দুর রহিম নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে। বর্তমানে তিনি পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি। গত বছরের ৫ আগস্টের আগে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নোয়াখালী জেলা শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাভার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
জানা গেছে, মো. আব্দুর রহিম ঢাকার সাভারে থাকেন। তিনি সাভারের ছাত্র হত্যা মামলার আসামি। সম্প্রতি নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলোর সঙ্গে তার ছবি ভাইরাল হয়। নিজ জেলার বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নিলেও আব্দুর রহিমের এমন অনুপ্রবেশে হতাশ বিএনপির নেতাকর্মীরা।]]
এওজবালিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সমর্থক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আব্দুর রহিমের যেহেতু পূর্বের ক্রাইম রেকর্ড আছে এরা দল পাল্টাইলেও স্বভাব পাল্টাতে পারবে না। কয়দিন পর কোনো অপকর্ম করে সেটাকে বিএনপির ঘাড়ে দেবে। দিনশেষে ফেসবুকে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলবে। এই ধরনের দুষ্কৃতকারীদের এখনই রুখে দিতে না পারলে বিএনপির বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে।
মো. জিয়া নামের এক বিএনপি নেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আব্দুর রহিম জুলাই বিপ্লবে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি। সে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রোডাক্ট যার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা চলমান। বর্তমানে সে খোলস পাল্টিয়ে নিজের নামের সঙ্গে শ্রমিকদলের ট্যাগ লাগাচ্ছে। কত দুঃখজনক ঘটনা। অনেকে জেনেও এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
অভিযোগ অস্বীকার করে মো. আব্দুর রহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আমার চাকরির কারণে ছবি তুলতে হয়েছে। আমি বিএনপি করি। সাভার বিএনপিতে আছি। আমার বিরুদ্ধে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে। আমি আ ওয়ামী লীগের সময়ে আওয়ামী লীগের মামলায় জেল খেটেছি।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো ঢাকা পোস্টকে বলেন, আব্দুর রহিম আমাদের বাড়িতে তার বোনকে বিয়ে দিয়েছেন। সেই সূত্রে সে বাড়িতে এসে ছবি তুলেছে। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা আছে অথবা আ ওয়ামী লীগ করার অভিযোগ আছে এটা আমার জানা ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থানে রয়েছি।