আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ক্রেতারা এরইমধ্যে পশু কেনা শুরু করেছেন। পশুর হাটগুলোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতারা পছন্দের গরু কিনতে বিভিন্ন খামারেও যাচ্ছেন। এবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা গোদনাইল এলাকার আর কে এগ্রো ফার্মে উন্নতমানের কোরবানির পশু পালন করা হয়েছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে খামারটির বড় দুটি গরুর নাম রাখা হয়েছে ‘পাঠান’ ও ‘জায়েদ খান’। গরু দুটি দেখতে খামারটিতে প্রতিদিন শতশত ক্রেতা-দর্শনার্থী ভিড় করছেন। অনেকেই আবার ছবি, ভিডিও ধারণ করছেন।
এদিকে আড়াই বছর বয়সের শাহীওয়াল জাতের ২০ মণ ওজনের পাঠানের দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। লাল-কালো রঙের গরুটি লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতায় পাঁচ ফুট। আর সিন্ধি জাতের ১৮ মণের জায়েদ খানের দাম হাঁকা হচ্ছে আট লাখ টাকা। লাল-কালো রঙের গরুটি লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতা পাঁচ ফুট। প্রতিদিন গরু দুটির খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভুসি, সবুজ ঘাস এবং খড়।
এই গরু দুটির এমন নামকরণের বিষয়ে আর কে এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মো. আব্দুস সামাদ বলেন, আমরা আদর করে যে গরুটির নাম পাঠান রেখেছি, তখন পাঠান ছবি মুক্তি পেয়েছিল। গরুটির গঠন অনেকটা পাঠানের মতো। এছাড়া পাঠান বলে ডাক দিলে গরুটি সাড়া দেয়।
আর গরুর নাম জায়েদ খান রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, যখন পাঠান ছবি মুক্তি পায় তখন জায়েদ খান ওই সিনেমা নিয়ে কথা বলে বেশ আলোচনায় আসেন। এই দুটি গরুকে যখন পাশাপাশি রাখা হতো তখন একটি আরেকটিকে গুঁতো দিতো। তাই চিন্তা করলাম, এই গরুর নাম জায়েদ খানই রেখে দিই। এটি এখন জায়েদ খান নামেই ফার্মে ব্যাপক পরিচিত।
এদিকে খামারটির অ্যাকাউন্টস অফিসার মো. নাজির হোসেন জানান, তাদের খামারে ব্রাহমা, সিন্ধি, শাহীওয়াল, নেপালি বলদ, দেশাল, ফ্রিজিয়ান জাতের এক হাজারও বেশি গরু লালনপালন করা হয়েছে। পাশাপাশি দুম্বা, ভেড়াও রয়েছে। এরইমধ্যে তাদের খামারের ৭০ শতাংশ গরু বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকেই গরু কিনে খামারে রেখে যাচ্ছেন। বিক্রি হওয়া এই পশুগুলো ক্রেতাদের ইচ্ছামতো সময়ে ডেলিভারি দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, কোরবানির পশু কিনতে ও দেখতে প্রতিদিন শতশত ক্রেতা-দর্শনার্থী খামারটিতে ভিড় করছেন। তারা চেষ্টা করেন শতভাগ সুস্থ গরু ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করতে। এছাড়া অনেকে অনলাইনে অর্ডার করে গরু কিনছেন। গতবারের তুলনায় এবার ক্রেতাদের বেশি সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার জানান, নারায়ণগঞ্জে এবার এক লাখ পশু কোরবানি হতে পারে। চাহিদার তুলনায় বেশি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বিশেষায়িত খামার ছাড়াও সাধারণ খামার ও কৃষকরা বাড়িতে গবাদিপশু পালন করে কোরবানির জন্য তৈরি করেছেন। তবে বর্তমানে এগ্রো ফার্মগুলো ক্রেতাদের বেশি আকৃষ্ট করে। তাই এখন অনেকেই এই ফার্মগুলো থেকে কোরবানির জন্য গরু কেনেন।