এবার ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে সেনেগালের কাছে ৪-২ গোলে ধরাশায়ী হয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। এ নিয়ে ৮ বছর পর কোনো দলের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারলো সেলেসাওরা। খবর দ্য ডেইলি মেইলের।
গত ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় ব্রাজিল। এরপর তাদের বড় হার ছিল ২০১৫ সালে চিলির বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে। অবশেষে মঙ্গলবার ২০ জুন রাতে লিসবনে সেনেগালের কাছে ৪-২ গোলে ভরাডুবি ঘটলো সেলেসাওদের।
পর্তুগালের লিসবনে মঙ্গলবার ২০ জুন দিবাগত রাতে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার পরও ৪-২ গোলে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগালের বিপক্ষে লজ্জার হার হারতে হয়েছে ব্রাজিলকে। দুই দলের দ্বিতীয়বারের দেখায় প্রথম জয় পেল আফ্রিকার দেশটি।
২০১৯ সালে সিঙ্গাপুরে প্রথম ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল। সেনেগালের হয়ে এবার জোড়া গোল করেন দলটির তারকা ফরোয়ার্ড সাদিও মানে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল ব্রাজিল।
এরপর থেকে জয় যেন প্রায় অচেনাই হয়ে গেছে সেলেসাওদের জন্য! আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মরক্কোর কাছে হারতে হয়েছে ব্রাজিলকে। পুঁচকে গিনির বিপক্ষে জিতলেও সেনেগালের কাছে আবারও ধরাশয়ী হলো হলুদ জার্সিধারীরা।
সবশেষ কাতার বিশ্বকাপ থেকেই ধুঁকছে ব্রাজিল। বিশ্বমঞ্চে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে পদত্যাগ করেন কোচ তিতে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তার স্থানে কাউকে নিয়োগ দিতে পারেনি সেলেসাওরা। ফলে অভিভাবকের সমস্যায় পড়েছে লাতিন আমেরিকার শৈল্পিক ফুটবলের দলটি।
বর্তমানে ব্রাজিল দল সামলাচ্ছেন অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ র্যামন মেনেজেস। তার অধীনে তিন ম্যাচ খেলে দু’টিতেই হেরেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত সুপারস্টার নেইমার।
দলে নেই কুতিনহোর মতো খেলোয়াড়। ফলে অভিজ্ঞতার অভাবে ভুগছে তারা। মাঝমাঠে নেই ভারাসাম্য। আক্রমণভাগে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচার্লিসনরাও আস্থার প্রতিদান দিতে পারছেন না।