ফরিদপুরে কেয়া খাতুন (১৫) নামে এক কিশোরীকে হত্যার দায়ে মো. আলী হাসান সরদার (৩৭) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আলী হাসান সরদার পলাতক ছিলেন। মো. আলী হাসান সরদার ফরিদপুর শহরের কমলাপুর মহল্লার সিএন্ডবি কলোনি এলাকায় দবিরউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রায় নয় বছর পর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৫ সাল থেকে ফরিদপুর শহরের কমলাপুর মহল্লার দবিরউদ্দিনের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে শিশু কেয়া খাতুন (৭)। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দবিরউদ্দিনের বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়া মো. আলী হাসান সরদার তাকে কু-প্রস্তাব দিলে সে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে আলী হাসান কিশোরী কেয়াকে হত্যার হুমকিও দেন।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে কেয়ার মরদেহ দবিরউদ্দিনের ঘরের মেঝে থেকে উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এ ঘটনায় কেয়ার বাবা বারেক শেখ বাদী হয়ে ৩ অক্টোবর মো. আলী হাসান সরদারসহ দুই জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালে ১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুজ্জামান। অভিযোগপত্রে মো. আলী হাসান সরদারকে একমাত্র আসামি করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নওয়াব আলী জানান, ১৮৮০ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারায় হাসান আলীকে জরিমানাসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। তিনি বলেন, আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এ দণ্ড কার্যকর হবে। তিনি বলেন, এ রায়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।