, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ , ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ


বাংলাদেশি পর্যটক নেই, কলকাতায় পরিবহনের অফিস এখন কাপড়ের দোকান

  • আপলোড সময় : ২০-০৩-২০২৫ ১২:২৭:৩৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৩-২০২৫ ১২:২৭:৩৯ অপরাহ্ন
বাংলাদেশি পর্যটক নেই, কলকাতায় পরিবহনের অফিস এখন কাপড়ের দোকান
এবার কলকাতার নিউ মার্কেটের 'সেন্টমার্টিন পরিবহন'এর কাউন্টার এখন কাপড়ের দোকান। শুধুমাত্র সেন্ট মার্টিন পরিবহন নয়, কলকাতার নিউমার্কেটে বাংলাদেশি পর্যটন না থাকায় একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হোটেল, রেস্টুরেন্টে। বাংলাদেশি পর্যটক না থাকায় নিউ মার্কেটে সন্ধ্যা হলেই এখন ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
 
গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এমন অবস্থায় ৫ আগস্ট'এর পরেও প্রথম কয়েক মাস বাংলাদেশি পর্যটকরা কলকাতায় গেলেও এখন পর্যটকের সংখ্যাও একেবারে নেই বললেই চলে। একসময় মিনি-বাংলাদেশ বলে খ্যাত কলকাতার এই নিউমার্কেট বাংলাদেশি পর্যটক শূন্য হলে তার প্রভাব পড়ে স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও।   

কিছুদিন আগে কলকাতা থেকে নিয়মিত বাংলাদেশে যাত্রীবাহী বাস পরিসেবা দিত 'সেন্টমার্টিন পরিবহন'। কলকাতা থেকে ঢাকাসহ বাংলাদেশের শহরগুলোতে চলাচলকারী অন্য নামী পরিবহন সংস্থাগুলোর মতো দুই দেশের যাত্রীদের কাছে ভরসাযোগ্য হয়ে উঠেছিল এই পরিবহন। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাসের ব্যবসা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিক পক্ষ। মাসিক এক লাখ ৪০ হাজার রুপিতে ইজারায় নেয়া ছিল পরিবহনের অফিসের টাকা পরিশোধ করতে এর কাউন্টার এখন পরিণত হয়েছে কাপড়ের দোকানে। বাংলাদেশিরা না থাকায় সেই কাপড়ের দোকানেও নেই আশানুরূপ বিক্রি।

পরিবহন সংস্থা থেকে পোশাকের দোকানের মালিক হয়ে ওঠা মোহাম্মদ সরোজ খান জানান, 'যাত্রী নেই, বাংলাদেশিরা আসছে না। তাই দোকানও পরিবর্তন করেছি। প্রতিমাসে এক লাখ ৪০ হাজার রুপি ভাড়া দিতে হয়। বাস যদি না চলে সেখানে পরিবহনের ব্যবসা রেখে লাভ কি? বর্তমানে টুরিস্ট ভিসা নেই, মেডিকেল ভিসা নিয়েও খুব কম যাত্রী এপারে আসছেন। ফলে ব্যাবসা বদল করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। কারণ পেট তো চালাতে হবে।' 

মঙ্গলবার তিনি জানান, পরিবহন ব্যবসা যখন রমরমা ছিল তখন দিনে ১৫-২০টা গাড়ি যাতায়াত করত। আর এখন ৩-৪টা গাড়ি চলছে। ফলে আমাকে ব্যবসা পরিবর্তন করতে হয়েছে।' কিন্তু ব্যবসা পরিবর্তন করেও কি সফলতা এসেছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, 'কোনরকমে চলছে। স্থানীয় ক্রেতা রয়েছে। প্রতিদিন মাত্র ৭-৮টা পোশাক বিক্রি হচ্ছে।'  তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা আসলে নিউ মার্কেট জমে উঠবে, বাংলাদেশি না থাকলে পুরো ফ্লপ। নিউ মার্কেট, পার্ক স্ট্রিট সহ প্রায় দুই কিলোমিটার জায়গা মূলত বাংলাদেশিদের ওপরেই নির্ভরশীল। স্থানীয় ক্রেতারা দুই একজন আসছেন, কিনছেন। ব্যাস এটুকুই!' 
সর্বশেষ সংবাদ
শেয়ার মার্কেট ট্রেড করেছি প্রমাণ করতে পারলে সবকিছু দিয়ে দেব: সাকিব

শেয়ার মার্কেট ট্রেড করেছি প্রমাণ করতে পারলে সবকিছু দিয়ে দেব: সাকিব