, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ , ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


মসজিদের ইমামের বুকে যুবলীগ নেতার লাথি, মারধর

  • আপলোড সময় : ১৬-০২-২০২৫ ১১:০৯:২১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০২-২০২৫ ১১:০৯:২১ পূর্বাহ্ন
মসজিদের ইমামের বুকে যুবলীগ নেতার লাথি, মারধর
এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কোল্লাপাথর নূরানি জামে মসজিদের ইমামের বুকে লাথি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে মো. শামিম নামে এক যুবলীগ নেতা ও তার বোন জামাইয়ের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনার বিচার চেয়ে অভিযুক্ত শামিমসহ আরো চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ইমাম মোশাহিদুল ইসলাম।

এদিকে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মো. শামিম বায়েক ইউনিয়নের কোল্লাপাথর এলাকার মৃত তোতা মিয়া মাস্টারের ছেলে। তিনি বায়েক ইউনিয়নের যুবলীগের সক্রিয় সদস্য ও তার বোন জামাই মইন মিয়া একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
  
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কোল্লাপাথর গ্রামের পাকপাঞ্জাতন দরবার শরিফের জিকিরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শামিমের আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। সেখানে মসজিদের ইমাম মোশাহিদুল একটি কমেন্ট করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) একটি দাওয়াতে যাওয়ার সময় শামিম মসজিদের ইমামকে ডেকে নিয়ে তাকে মারধর করেন ও বুকে লাথি মারেন।

তবে বুকে লাথি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে শামিম বলেন, হুজুর আমার ফেসবুকে কমেন্ট করায় আমি তার নম্বরে ফোন দিলে আমাকে হুমকি দেন। শুক্রবার হুজুরকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে ডাক দিয়ে কমেন্ট করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তর্ক শুরু করলে আমি একপর্যায়ে রাগের বসে তাকে ধাক্কা দেই, তবে তার বুকে আমি লাথি দেইনি।

এই ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ইমাম মোশাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, শামিম ও তার বোন জামাই মইন খান মিলে আমাকে মারধর ও বুকে লাথি দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাকে এখনো ফোনে হুমকি দিচ্ছে শামিমের লোকজন, তাই আমি প্রাণনাশের ভয়ে আছি।

এদিকে কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, ইমাম সাহেবকে নির্যাতনের ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনে রেকর্ড আড়াই কোটি মুসল্লি দেখেছে পবিত্র কাবা

রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনে রেকর্ড আড়াই কোটি মুসল্লি দেখেছে পবিত্র কাবা