গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্রিকেটার-কোচিং স্টাফদের পারিশ্রমিকের পুরো অর্থ বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও, এই ডেডলাইনও মিস করেছেন দুর্বার রাজশাহীর মালিক শফিক রহমান। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির দুই ক্রিকেটার। তবে মালিকপক্ষ আবারো ক্রিকেটারদের দিয়েছেন নতুন আশ্বাস–এ সপ্তাহের মধ্যেই তাদের পুরো অর্থ বুঝিয়ে দেয়া হবে। ফরচুন বরিশালের টানা দ্বিতীয় ট্রফি জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিপিএলের ১১তম আসর। কিন্তু ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে বিতর্ক যেন শেষ হবার নয়।
এবারের বিপিএলকে কলুষিত করেছে দুর্বার রাজশাহী। ক্রিকেটারদের চুক্তির অর্থ না দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটেও ইমেজ সংকটে ফেলেছে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকে। খেলোয়াড়দের দেয়া অর্থের চেক একাধিকবার বাউন্স হয়েছে । বিদেশি ক্রিকেটারদের ম্যাচ না খেলা, খেলোয়াড়দের অনুশীলন বর্জনসহ অনেক কিছুই দেখেছে এবারের বিপিএল।
এদিকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন দলটির মালিক শফিকুর রহমান–এমন ধারণা থেকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী হেফাজতে নেয় তাকে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করার সঙ্গে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। যে বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
তবে নিজেদের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে দুর্বার রাজশাহী। ৩, ৭ ও ১০ ফেব্রুয়ারি ২৫ শতাংশ করে, ক্রিকেটারদের বাকি ৭৫% পারিশ্রমিক পরিশোধের কথা ছিলো মালিকপক্ষের। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ২৫% অর্থ দিয়েছেন শফিকুর রহমান। ১০ ফেব্রুয়ারির ডেডলাইন পার হলেও অধিকাংশ ক্রিকেটার পান নি ৫০% পারিশ্রমিকও।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটার বলেন, '৫০ শতাংশ পাবো ভাই। অনেককে আরও কম দিছে। টাকাও নাকি অনেকে তুলতে পারে নাই। ধরেন ৪৭%-৪৮% কমায় সবাই অ্যাডজাস্ট করেছিল। পরবর্তী পেমেন্টের সঙ্গে দেয়ার কথা ছিল। ৩ তারিখ ২৫% দিয়েছিল।' আরেক ক্রিকেটার বলেন, '৫০% না, ৪৫% পেয়েছি। ৭ তারিখে দেয়ার কথা ছিল, ওটা বলছে ১০ তারিখে দেবে। এখন পর্যন্ত কোনোকিছু জানায়নি।' শুধু ক্রিকেটারদের পাওনাই নয়, বাস ভাড়ার ৯ লাখ টাকাও এখনও পরিশোধ করেনি দুর্বার রাজশাহী।
এদিকে বিপিএলের রানার্স আপ চিটাগাং কিংসের পাকিস্তানি ক্রিকেটার খাজা নাফি পারিশ্রমিক পাননি, দেয়া হয়েছে ভুয়া বিমান টিকিট– ফেসবুকে এক পাকিস্তানি ক্রীড়া সাংবাদিক এমন দাবি করলেও বিষয়টি সত্য নয় বলে নিশ্চিত করেছেন খোদ এই পাকিস্তানি খেলোয়াড়ই। নাফি বলেন, 'এটা ভুয়া খবর। আমি দেড় দিন ধরে বিমানবন্দরে বসে নেই। আমি তিনদিন ধরে বাংলাদেশেই শেরাটন হোটেলে আছি। আর আমি অনেক আগেই আমার শতভাগ পারিশ্রমিক বুঝে পেয়েছি।' পাকিস্তানি সেই সাংবাদিককে পরবর্তীতে চ্যালেঞ্জ করা হলে তিনি সেই পোস্ট ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেন।