এবার ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত করার বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্সের।
এদিকে সৌদি বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর নাম উল্লেখ করা হলেও এটি সৌদি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সরাসরি মন্তব্যের উল্লেখ করেনি। মিশর এবং জর্ডানও ইসরায়েলি পরামর্শের নিন্দা করেছে। কায়রো এই ধারণাটিকে "সৌদি সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন" বলে মনে করে। দেশটি বলেছে যে তারা নেতানিয়াহুর মন্তব্যকে "ভ্রাতৃত্বপূর্ণ" রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যাখ্যান করে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্ভট এক তত্ত্ব দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, সৌদি আরবে অনেক খালি জায়গা আছে। তাই সেখানে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি রাষ্ট্র করতে। এমনকি প্রস্তাবিত গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিকে ঔদ্ধত্যের সঙ্গে নাকচ করেছেন তিনি।
এদিকে ইসরায়েলের ডানপন্থি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ফোরটিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দেয়ার মতো যথেষ্ট জায়গা সৌদি আরবে আছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ সৌদি আরবে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে। সেখানে তাদের অনেক ভূমি আছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্ত দিয়েছে সৌদি আরব। সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েল রাষ্ট্রকে বিপন্ন করবে, এমন কোনো চুক্তি তিনি করবেন না। নেতানিয়াহু বলেন, ‘বিশেষ করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র তো নয়ই। ৭ অক্টোবরের পরও? আপনি কি জানেন সেটা কী? একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ছিল, এটিকে গাজা বলা হতো। হামাসের নেতৃত্বে গাজা ছিল একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র এবং দেখুন, আমরা কী পেয়েছি, হলোকাস্টের পর সবচেয়ে বড় গণহত্যা।’ নেতানিয়াহুর ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল সৌদি আরব।