, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ , ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


শেখ হাসিনা দালাই লামা নন, ভারতের উচিত তাকে সমর্থন বন্ধ করা: দ্য প্রিন্ট

  • আপলোড সময় : ০৯-০২-২০২৫ ১১:৩৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০২-২০২৫ ১১:৩৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
শেখ হাসিনা দালাই লামা নন, ভারতের উচিত তাকে সমর্থন বন্ধ করা: দ্য প্রিন্ট
গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ১৮০তম দিনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে ভাষণ দেওয়ার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। তার এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশি তরুণদের একটি বড় অংশের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে- অনেকেই ভাবতে শুরু করেন তার দল আওয়ামী লীগ হয়তো প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছে। শুরুতে যা ছিল একটি সাধারণ ফেসবুক পোস্ট। বাংলাদেশের হাজার হাজার তরুণ তা কার্যত লুফে নেয়। সেইসঙ্গে ঢাকার কেন্দ্রে প্রতিবাদীদের একটি বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে শেখ হাসিনা তার বক্তৃতা শুরু করার সময় ধানমন্ডি ৩২-এর ঐতিহাসিক ভবনটি, যেখানে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মুকুটহীন রাজা হিসেবে তার শেষ দিনগুলো কাটিয়েছিলেন, তার সামনে কয়েকটি বুলডোজার আনা হয়। তখন এটি কার্যত আগুনে জ্বলছিল। হলুদ বুলডোজারের বড় ধাতব ব্লেডগুলো ভবনের একের পর এক অংশ গুঁড়িয়ে দিতে শুরু করে। এই ভবন থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

পরদিন সূর্যোদয়ের সময় বাংলাদেশ যখন জেগে ওঠে তখন তার ল্যান্ডস্কেপে পরিবর্তন ঘটে গেছে- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যা করতে পারেনি, তা ওই রাতের ৯ ঘণ্টায় ঘটে যায়। ৩২ নম্বর রোডের ভবনটিতে ইট ও ছাই- ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এরা বিক্ষুব্ধ জনতা বা ধর্মান্ধ নয়। এরা তারাই যারা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনা ও তার অনুগামীদের দ্বারা ভোটাধিকার বঞ্চিত হয়েছেন। তারা বাড়িটি ভাঙার সাথে সাথে করতালি ও উল্লাসে ফেটে পড়ছিলেন ও সেলফি তুলছিলেন। তাদের মধ্যে দেশের ইংরেজি-জানা মধ্যবিত্ত এবং শহুরে মানুষও ছিলেন। 

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন- যারা হাসিনার শাসনামলে একের পর এক কারচুপির নির্বাচনের কারণে তাদের জীবনে কখনও ভোটই দিতে পারেননি।  অবশ্য ভোটে কারচুপি করলেও মানুষের সমর্থন পেতে হাসিনা তার বাবার লিগেসি এবং দেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করেছেন। এই কাজটা তিনি এতটাই করেছেন যে- সাধারণ বাংলাদেশিরা মুজিবকে হাসিনা থেকে আলাদা ভাবতে পারেননি। উভয়ই দুঃখজনকভাবে একে অন্যের সাথে মিলে গিয়েছেন। হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এই আবহে ভারত এখন পররাষ্ট্রনীতির জালে আটকে পড়েছে। ঢাকায় এখন আবেগ তুঙ্গে।

এ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এহতেশাম হক বলেছেন, লাখ লাখ ভুক্তভোগী মানুষ তাদের নিপীড়কের প্রতীককে সম্মান করবে বলে আপনি আশা করেন? যা কিনা ইট-বালি দিয়ে তৈরি একটি বাসা মাত্র- আপনি কি আমাদের কাছ থেকে চুরি করা সম্পদ ফিরিয়ে দিতে পারবেন? আমাদের দেশবাসীর কাছ থেকে নৃশংসভাবে কেড়ে নেওয়া চোখ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফিরিয়ে আনতে পারবেন? আজকে ভেঙে ফেলা প্রতিটি ইট ন্যায়বিচারের প্রতীক, যা নিপীড়ক শাসকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করছে। মুজিবকে গুম, অপশাসন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতীকে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা। ৩২ নম্বর রোডের বাড়িটি, যাকে একসময় বাংলাদেশিদের গর্বের স্মারক হিসেবে দেখতেন, তা এখন হাসিনা নামের সমার্থক হয়ে উঠেছে।
রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনে রেকর্ড আড়াই কোটি মুসল্লি দেখেছে পবিত্র কাবা

রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনে রেকর্ড আড়াই কোটি মুসল্লি দেখেছে পবিত্র কাবা