, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ , ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নেই, সন্তানের মরদেহ নিয়ে বাসে উঠলেন অসহায় বাবা

  • আপলোড সময় : ১৭-০৬-২০২৩ ০৭:২৫:৪৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৬-২০২৩ ০৭:২৫:৪৩ অপরাহ্ন
অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নেই, সন্তানের মরদেহ নিয়ে বাসে উঠলেন অসহায় বাবা
এবার ভারতের মধ্যপ্রদেশে সদ্যোজাত সন্তানের মরদেহ ব্যাগে নিয়ে ১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক অসহায় বাবা। তার অভিযোগ, সরকারি হাসপাতাল থেকে মৃতদেহবাহী গাড়ি (অ্যাম্বুলেন্স) চেয়েও পাননি। অন্যদিকে নিজের টাকায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার ক্ষমতা না থাকায়, সন্তানের মরদেহ নিয়ে শেষ পর্যন্ত বাসেই ওঠেন তিনি। 

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গেলো ১৫ জুন বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের দিনদোরি জেলায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, জেলার সহজপুরি গ্রামের বাসিন্দা সুনীল ধুরভের স্ত্রী যামনী বাই গত ১৩ জুন সরকারি হাসপাতালে একটি সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর থেকে শিশুর শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে জবলপুরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। ১৫ জুন সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির। 

সুনীল বলেন, আমরা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে পারিনি। আমরা ডাক্তারদের (জবলপুর মেডিক্যাল কলেজ) অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। আমাদের কাছে ট্যাক্সি ভাড়া করার টাকাও ছিল না, তাই শিশুর মৃতদেহ একটি ব্যাগে নিয়ে বাসে উঠি এবং দিনদোরি জেলায় পৌঁছায়।  

যদিও সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম ডিরেক্টর সঞ্জয় মিশ্র জানিয়েছেন, জবলপুরের হাসপাতাল থেকে যখন শিশুটিকে ছাড়া হয় তখন সে জীবিতই ছিল। সঞ্জয় মিশ্রের দাবি, সরকারি হাসপাতালে মৃতদেহবাহী গাড়ির কোনো ব্যবস্থাই নেই। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, হাসপাতাল ছাড়ার সময় শিশুটি জীবিত ছিল। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
 
এর আগে গত মে মাসে উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মাকেও ঠিক একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তার সন্তানের মৃত্যু হয়। মৃত ছেলেকে ব্যাগে ভরে বাসে চেপে শিলিগুড়ি থেকে কালিয়াগঞ্জ পৌঁছন অসীম।  অভিযোগ ছিল, সেসময় মৃতদেহবাহী গাড়ি চেয়েও পাননি অসীম। ওই ঘটনার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। 
সর্বশেষ সংবাদ
ভারতে মসজিদ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা, গুলি করে তিন মুসলিমকে হত্যা

ভারতে মসজিদ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা, গুলি করে তিন মুসলিমকে হত্যা