এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কাঠালতলী মুজাহিদ পাড়া মাদরাসার উন্নয়নের সরকারী বরাদ্দকৃত টাকা
আত্মসাৎয়ের অভিযোগ উঠেছে জৈনসার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সাবেক ইউপি সদস্য তৈহিদুজ্জামান টিটুর বিরুদ্ধে। আত্মসাতের টাকা ফেরত চেয়ে মুসল্লীদের অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ১৯ জানুয়ারী দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের কাঠালতলী মুজাহিদ পাড়া মাদরাসার প্রাঙ্গনে এ অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আত্মসাৎয়ের টাকার বিষয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কাঠালতলী মুজাহিদ পাড়া মাদরাসার সভাপতি মো: নাজিম উদ্দীন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারীরা আল্লাহ ঘরের টাকা আত্মসাৎয়ের কেন, বিচার চাই বিচার চাই, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই, বিচার চাই বিচার চাই সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় কাঁঠালতলী মুজাহিদ পাড়া মাদরাসার মাটি ভরাট প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা সরকারী বরাদ্দ হয়। মাদ্রাসা কমিটির হিসাব ও রেজুলেশন খাতার হিসাব মতে প্রকল্পের সভাপতি তৌহিদুজ্জামান টিটু ৫৯,০০০/- (ঊনষাট হাজার) টাকার কোন হিসাব দিতে পারে নাই এমনকি তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎয়ের অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।
এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কাঁঠালতলী মুজাহিদ পাড়া জামে মসজিদের মুসল্লী এমদাদুল হক পলাশ (৬৫) জাহাঙ্গীর ঢালী (৫৫)মো: আবুল হেসেম (৭৩) জানান,তৌহিদুজ্জামান টিটু মাদরাসার মাটি ভরাটে কতটুকু মাটি ফেলেছে তা আমাদের দেখায় নাই কিন্তু হিসাব দিছে ১লক্ষ ৪১ হাজার টাকার সে বাকী ৫৯ হাজার ফেরত দেয় নাই আমরা এই বাকী টাকা ফেরত চাই।
কাঠালতলী মুজাহিদ পাড়া মাদ্রাসার সভাপতি শেখ মো: নাজিম উদ্দীন বলেন,মাদ্রাসার জন্য সরকারী বরাদ্দ যখন আসে তখন আমি লন্ডনে ছিলাম এর মাঝে বালু ভরাটের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে
তৌহিদুজ্জামান টিটুকে সভাপতি করে।আমি দেশে
এসে কয়েক বার বালু ভরাটের ২ লক্ষ টাকার হিসার চাই কিন্তু সে দেয় না তালবাহানা করে। পরে ইমাম সাহের বেতন বৃদ্ধি করন ও মাদরাসার বালু ভরাটের জন্য মিটিং ডাকি ঐ মিটিংয়ে এসে মাদরাসার বরাদ্দের ২ লক্ষ টাকার মধ্যে ১লক্ষ ৪১ হাজার টাকার হিসাব দেয় বাকী টাকা আজও দেয় নাই তাই সবার সাথে আলোচনা করে এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
জৈনসার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সাবেক সদস্য তৌহিদুজ্জামান টিটু জানান,আমি কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি মাদরাসার সরকারি বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ টাকার মধ্যে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা হাতে পেয়েছি এর মধ্যে ১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার একটু বেশী বালু ভরাটে গেছে বাকী টাকা লেবার সহ আনুষাঙ্গিক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।মানুষ না বুজে অনেক কথা বলতে পারে এটাই সত্যি যা হয়েছে সত্য তাই বললাম।