কারো সাহায্যের প্রয়োজন নেই, তুরস্ক একাই সিরিয়ার সব সন্ত্রাসীকে পিষের ফেলার ক্ষমতা রাখে বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) আঙ্কারায় নিজের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এরদোয়ান। এসময় বিশ্বের সকল দেশকে সিরিয়া থেকে ‘তাদের হাত সরিয়ে নেয়ার’ আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘পিকেকে, ওয়াইপিজি এবং দায়েশসহ সিরিয়ায় অবস্থান করা সকল সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিশ্চিহ্ন করার ক্ষমতা তুরস্কের রয়েছে।’
এরদোয়ান বলেন, ‘ওয়াইপিজি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, যেটি সিরিয়ার এক-তৃতীয়াংশ এলাকা দখল করে আছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এখন সিরিয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা তারা।’
এরদোয়ান দাবি করেন, সিরিয়ার নতুন প্রশাসনকে অবশ্যই ওয়াইপিজির উপস্থিতি মোকাবিলা করার সুযোগ দিতে হবে। তা না হলে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর হুমকি দেন এরদোয়ান।
তুরস্ক ওয়াইপিজিকে পিকেকের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করে। গত কয়েক দশক ধরে সিরিয়া, ইরাক, ইরান এবং তুরস্কের বিশাল অঞ্চল নিয়ে একটি কুর্দী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পিকেকে। এই গোষ্ঠীটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তুরস্কে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে নিষিদ্ধ।
‘ওয়াইপিজি সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা সিরিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদও লুণ্ঠন করে। যদি তারা তাদের অস্ত্র ত্যাগ না করে তবে অনিবার্য পরিণতি থেকে পালাতে পারবে না।’ হুমকি দেন এরদোয়ান। সিরিয়ার মার্কিন অবস্থানের কথা উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন, ‘দায়েশের মতো বানোয়াট অজুহাত দেয়ার আর কোনও সুযোগ নেই।’
‘যদি সত্যিই সিরিয়া এবং এই অঞ্চলে দায়েশের হুমকির থেকেই থাকে তবে এই মোকাবিলার ইচ্ছা এবং শক্তি তুরস্কেরই আছে।’ ‘সবার উচিৎ সিরিয়া থেকে তাদের হাত সরিয়ে নেয়া। আমরা আমাদের সিরিয়ান ভাই-বোনদের সাথে নিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে দায়েশ, ওয়াইপিজি এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের মাথা গুঁড়িয়ে দেব।’
এদিকে সিরিয়ায় কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠী ওয়াইপিজিকে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তারা সেখানে যেকোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তুরস্ককে সতর্ক করে আসছে। অপরদিকে তুরস্ক ওয়াইপিজিকে সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বার বার অনুরোধ জানিয়ে আসছে।