এবার ওষুধ, মোবাইলে কথা বলাসহ শতাধিক পণ্য-সেবায় শুল্ক বৃদ্ধিতে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারন মানুষের মধ্যে। নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম আর নতুন করের কারণে, চাপে পড়ার শঙ্কায় তারা। অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, সব শ্রেণির মানুষের ওপরই প্রভাব ফেলবে সরকারের এ সিদ্ধান্ত। ব্যবসায়ীদের রেস্টুরেন্ট বন্ধের হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টা পরই ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইনে ব্যাপক পরিবর্তন এনে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার, যা এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে।
এতে মোবাইল ফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়ছে। আবার পোশাকের দামও বাড়তে পারে। বাড়ছে রেস্তোরাঁর খাবারের খরচও। এ ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আরও যুক্ত হবে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, কোমল পানীয়, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্য।
ওষুধে কর ২ দশমিক ৪ থেকে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সম্পূরক শুল্ক বেড়েছে ৩ শতাংশ। বিভিন্ন ফল, ফলের রস, সাবান, ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এমনিতেই চালসহ বেশকিছু নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে অস্বস্তিতে আছে মানুষ। কর বৃদ্ধিতে আরও চাপে পড়ার শঙ্কায় তারা। মূল্যস্ফীতি এখনো ১০ শতাংশের বেশি। সব মিলিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। তারা বলছেন, ‘কীভাবে আমাদের চালাবে, তা সরকার ঠিক করে দিক। এভাবে শুল্ক বাড়িয়ে দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। এগুলো না বাড়ালে কিন্তু বাজারটা স্থিতিশীল থাকে।’
দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় রয়েছে সরকার। এ অবস্থায় বাড়তি করের খরচ ভোক্তাদের জন্য বড় বোঝা হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এ নিয়ে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, ‘এখন চাল-ডাল-নুনের বাইরেও মানুষ অনেক কিছু কেনে। মানুষের জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং যেগুলোর ওপরে ভ্যাট-শুল্ক বসানো হয়েছে, সেগুলো নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ওপরও চাপ ফেলবে।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্তপূরণে অর্থবছরের মাঝে কর বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত।