, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫ , ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


জনগণ সব কিছুর আগে খুনি হাসিনার ফাঁসি দেখতে চায়: সারজিস

  • আপলোড সময় : ১০-০১-২০২৫ ০৫:০৫:০৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০১-২০২৫ ০৫:০৫:০৭ অপরাহ্ন
জনগণ সব কিছুর আগে খুনি হাসিনার ফাঁসি দেখতে চায়: সারজিস
এবার দেশের সব শ্রেণির মানুষ শেখ হাসিনার ফাঁসি চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে ভোলা সরকারি স্কুলসংলগ্ন ইলিশা ফোয়ারা মোড়ে এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সারজিস বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ্যভাবে এ দেশের সব দলের, মতের, ধর্মের, বয়সের ও শ্রেণির মানুষ একসঙ্গে ফ্যাসিস্টবিরোধী লড়াই করেছি। এ দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে গিয়ে মানুষের কথা শোনা এবং সে অনুযায়ী আগামীর বাংলাদেশের কাজগুলো করা আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।

সেই দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা দেশের প্রতিটি প্রান্তে গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলছি। আমরা তাদের প্রশ্ন করেছি তারা ঘোষণাপত্রে কী দেখতে চায়? তারা আমাদের বলেছেন, তারা সর্বপ্রথম খুনি হাসিনার ফাঁসি দেখতে চায়।’ 

তিনি বলেন, ‘আজ যখন আমরা চিন্তা করছি, অভ্যুত্থানে যে গতিকে সামনে রেখে আমরা রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি, বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্নগুলো আমরা এখনো ধারণ করি, যে স্বপ্নগুলো দেখি, সে স্বপ্নগুলো একটি ঘোষণাপত্রে লিখিত আকারে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কোন কথাগুলো ঘোষণাপত্রে লিখিত আকারে থাকা প্রয়োজন, সেগুলো যেন কয়েকজনের কথা না হয়। সেগুলো যেন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলার ও থানার প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের কথা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা শহর থেকে দূরত্ব কখনো অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে পারে না। অগ্রাধিকার নির্ধারণ করবে কার কতটুকু ত্যাগ আছে। সেই ত্যাগের বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি জেলা হচ্ছে ভোলা। এই দ্বীপ জেলা ভোলার ৪৭জন বীর শহীদ তাদের জীবন দিয়ে এই অভ্যুত্থানকে সফল করেছেন। আমরা ভোলার রাজপথে হেঁটেছি, সিএনজি ও অটোচালক, ফুটপাতের দোকানদারসহ সকল শ্রেণির মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি।’

সারজিস আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন একটি ধারা দেখেছি, যেই ধারায় শুধুমাত্র যখন ভোটের প্রয়োজন হতো তখনই অনেকে জননেতা সেজে জনগণের কাছে আসতো। কিন্তু বিগত ১৬ বছরে খুনি হাসিনা সেই ভোটেরও প্রয়োজনীয়তা রাখেননি। তাই কোনো নেতাকে জনগণের কাছে আসতে হয়নি।’

ঘোষণাপত্র প্রসেঙ্গ তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্টবিরোধী অনেক দল যার যার যায়গা থেকে খুনি হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, কিন্তু তারা তাদের যায়গা থেকে যতটুকু ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দরকার ছিলো ততটুকু হতে পারেনি বলে খুনি হাসিনা এই বাংলাদেশ একটি স্বৈরতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামের একটি ব্যানারকে সামনে রেখে পুরো বাংলাদেশের ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে এই বাংলাদেশ থেকে খুনি শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে। তাহলে যে ব্যানারকে সামনে রেখে এতো বড় একটি অভ্যুত্থান হলো সেই ব্যানারের নাম স্পষ্ট করে ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে।’ 

চাঁদাবাজি বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সারজিস বলেন, ‘বাংলাদেশের যে জায়গাগুলোতে এখনো দালালি ও চাঁদাবাজি হয়; হোক সেটা কেউ পোশাক পড়ে করুক, কেউ সাধারণ পোশাকে করুক তাদের বিরুদ্ধে সকলকে সক্রিয় হতে হবে।’

যে কোনো যৌক্তিক দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অথবা জাতীয় নাগরিক কমিটি ভোলার মানুষের পাশে থাকবে উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোলাবাসীর প্রাণের দাবিগুলো সরকার পর্যন্ত পৌছে দিবো। যেই ভোলায় গ্যাস উৎপাদন হয় সেই ভোলা কেনো গ্যাস পাবে না; যেই ভোলা থেকে স্পিডবোট অথবা লঞ্চে যেতে যেতে রোগী মারা যায় সেই ভোলায় কেনো মেডিক্যাল কলেজ থাকবে না-এমনটা হতে পারে না।’ 
সর্বশেষ সংবাদ
মাত্র ১০৮ দিনে কোরআনের হাফেজ ৮ বছরের তামিম

মাত্র ১০৮ দিনে কোরআনের হাফেজ ৮ বছরের তামিম