এবার বাংলাদেশে অস্ত্র ও সামরিকখাতে সহায়তা বাড়াতে চায় তুরস্ক। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সফররত তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাত রাজধানীর একটি হোটেলে এসব কথা বলেন।
দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে এই সময় ওমর গুলাম বলেন, অন্তবর্তী সরকারকে বাণিজ্য-অর্থনীতিসহ সব খাতেই সহযোগিতা করতে চায় তুরস্ক। টেক্সটাইল দুই দেশের বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হলেও, ফার্মাসিউটিক্যালস, অবকাঠামো, জ্বালানি, কৃষিতে বিনিয়োগ করতে চায় তুরস্ক। আগামী বছরগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে আগ্রহী তুরস্ক।
এদিকে অধ্যাপক ড. ওমর বোলাতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-তুরস্কে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিল্পসহ বিনিয়োগের বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক। এছাড়া বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী দেশটি। সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বাংলাদেশে অস্ত্র রপ্তানি করতে চায়।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, রমজান নিয়ে আমরা সামগ্রীকভাবে প্রস্তুত। চাল আমদানির শুল্ক কমিয়েছি। বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি হচ্ছে। এখন থেকে আগামী তিন মাসে সাময়িক অসুবিধা কেটে যাবে। চালের মজুদে কোন ঘাটতি নাই। চালের দামের কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আমাদের কাছে আলাদিনের চেরাগ নাই, যে রাতারাতি ঠিক হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি। ১ কোটি পরিবারের কার্ডের মধ্যে অনেক দুর্নীতি ছিল। যারা বাদ পরার কথা বলা হচ্ছে, তারা বাদ পরেনি। প্রকৃত সংখ্যা কমেনি।