এবার অনানুষ্ঠানিক খবর অনুযায়ী, চেন্নাইয়ে দেয়া বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষাতেও ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার আগে ব্যর্থ হয়েছিলেন বার্মিংহামে দেয়া পরীক্ষায়। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, পরপর দুই পরীক্ষায় বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিযুক্ত হলে এক বছরের মধ্যে ওই বোলার বল করতে পারবেন না।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের থাকা, না থাকা নিয়ে যখন দেশের ক্রিকেটে আলোচনা, তখন কিনা দুশ্চিন্তা বাড়ালো টাইগার অলরাউন্ডারের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার ফলাফল। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো কিছু নিশ্চিত নয়। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছ অনানুষ্ঠানিকভাবে খবর এসেছে, চেন্নাইয়ে দেয়া বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষাতেও ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব।
টাইগার অলরাউন্ডারকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখার বিষয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে (বোর্ড থেকে) কোনও নির্দেশনা আসেনি। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি এটা একটু শকিং।’ বার্মিংহামে দেয়া পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে ফের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন সাকিব। এতদিনে ফলাফলও চলে আসার কথা। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো খবর আসেনি।
কিন্তু অনানুষ্ঠানিক খবরটি যদি সত্যি হয় তাহলে আইসিসির অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের নিয়ম বলছে, আগামী এক বছর কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন না সাকিব। এ সময়ের মধ্যে অ্যাকশন শোধরানোর পরীক্ষাও আর দিতে পারবেন না।
অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী, যদি নির্দিষ্ট কোনো ডেলিভারিতে সমস্যা থাকে তাহলে ওই ডেলিভারি বাদ দিয়ে বল করে যেতে পারবেন তিনি। পরীক্ষায় ত্রুটি ধরা পড়া সে ডেলিভারি শোধরানোর আগ পর্যন্ত তিনি ম্যাচে তার প্রয়োগ করতে পারবেন না। ম্যাচে যদি ত্রুটিপূর্ণ ডেলিভারিটি করেন, তাহলে এক বছরের জন্য বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হবেন। তবে এ সময়ে তিনি ব্যাটার হিসেবে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। এক বছর পর ফের আইসিসি স্বীকৃত পরীক্ষাগার থেকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলে বোলিংয়ে আর কোনো বাধা থাকবে না।