এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে এবার অবস্থান ধর্মঘট করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় দাবি না মানা হলে আগামীকাল বুধবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে লিচুতলা চত্বরে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, সহায়ক, সাধারণ ও পরিবহন কর্মচারীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকার চাই। যারা বলছেন কোটার কবর দিতে হবে, কোটামুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হবে; আমরাও তাদের সঙ্গে একমত। কিন্তু আমরা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার চাই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে যদি প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার থাকে, তবে আমরা কেন বঞ্চিত হব? কেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার হবেন? আমরা তার প্রতিবাদে, আমাদের সন্তানদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাব। যতদিন না আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাব।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত ২ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে প্রশাসন ভবনে তালা দেয়। প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে তারা বাইরে অশ্লীল, অশ্রাব্য গান-নৃত্য করেছে। আমরা এই প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই, যারা এই কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যেন তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়।
কৃষি প্রকল্পের সহকারী রেজিস্ট্রার মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। সে সময় কোটা বাতিলের দাবি ছিল না, সংস্কারের দাবি ছিল। আমরা সেই আন্দোলনে শরিক হয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করলে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
সেই জায়গায় আমাদের সন্তানরা কেন বঞ্চিত হবে? বৈষম্যের আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছি। তাই আমাদের একটাই দাবি আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা আমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে।’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।