নেত্রকোণার মদন পৌরসভার বাড়িভাদেরা গ্রামে বিয়ের দাবিতে চাচা শ্বশুরের বাড়িতে পাঁচ দিন ধরে অনশনে বসেছেন ভাতিজার বউ বিলকিস আক্তার (২২)। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন ওই নারী। তবে অনশনের খবর পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন চাচাশ্বশুর দিলু মিয়া (২৬)। অভিযুক্ত ব্যক্তি পৌরসভার বাড়িভাদেরা গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর পর্যন্ত নেত্রকোনার মদন পৌরসভার বাড়িভাদেরা গ্রামে দিলু মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন বিলকিস আক্তার। স্থানীয়রা জানান, ৪ বছর আগে ওই পুত্রবধূর পৌরসভার বাড়িভাদেরা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে রুহুল আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। রুহুল আমিনের সঙ্গে দেখা করতে প্রতিবেশী দিলু মিয়া প্রতিদিন তাদের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। সম্পর্কে দিলু বিলকিস আক্তারের চাচাশ্বশুর। এক পর্যায়ে পুত্রবধূ ও দিলুর মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় সাত দিন আগে রাতে বাড়ির পেছনে দিলুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয় ওই পুত্রবধূর। স্ত্রীর অবৈধ এমন মেলামেশা নিজ চোখে দেখে ফেলেন স্বামী রুহুল। পরে স্ত্রীর সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে জানান তিনি।
বিলকিস আক্তার বলেন, দিলু সম্পর্কে আমার চাচাশ্বশুর। প্রেমের ফাঁদে ফেলে তিনি আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। বিষয়টি আমার স্বামী নিজ চোখে দেখেছেন৷ তাই আমার সংসার ভেঙে গেছে। এখন আমি বিয়ের দাবিতে দিলুর বাড়িতে অনশন করছি৷ বিয়ে না করলে তার ঘরেই আত্মহত্যা করবো। এদিকে অভিযুক্ত দিলুর বড় বোন রেখা আক্তার জানান, ওই নারী বিয়ের জন্য কয়েকদিন ধরে আমাদের ঘরে অবস্থান করছেন। আমার ভাই বাড়িতে না আসায় এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হচ্ছে না।
স্থানীয় পৌরসভার কাউন্সিলর হক্কু মিয়া জানান, বিয়ের দাবিতে পাঁচ দিন ধরে দিলুর বাড়িতে তারই প্রতিবেশী ভাতিজা বউ অনশন করছে৷ এ ঘটনার খবর আমি থানার ওসিকে জানিয়েছি।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, খবরটি শুনেছি। কিন্তু কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।