এবার জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় ও সরকার বদল ঘিরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের তিক্ততা বাড়ছে। বিশেষ করে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির রাজনীতিকরা বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক কটূক্তি করেই চলছেন। চলমান এ উত্তেজনার মাঝেই নতুন করে বাংলাদেশীদের নিয়ে বিষোদ্গার করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহকুমার ভারত-বাংলাদেশের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে এক সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ভারত না থাকলে বাংলাদেশ অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। বাংলাদেশ ভারতের ওপর নির্ভর করে। ভারত বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করে না। ভারত বাংলাদেশে অন্তত ৯৭টি পণ্য পাঠায় উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, ভারত সে সব পণ্য পাঠানো বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষের ভাত, কাপড় জুটবে না। ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ না পাঠালে বাংলাদেশের আশি ভাগ গ্রামে আলো জ্বলবে না।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশকে উত্তেজনা না বাড়ানোর হুঁশিয়ারি জানিয়ে বিজেপির এই নেতা বলেন, তেমন হলে বাংলাদেশকে শায়েস্তা করা হবে। ১৯৭১ সালের মতোই তৎপর হয়ে উঠবে ভারত। সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার অবৈধ। যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ মানবতাবাদী দেশগুলোর উচিত এই সরকারকে উৎখাত করা। এই সরকারকে আইএস, তালেবান, হামসের সাথে তুলনা করে জঙ্গী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগেও বাংলাদেশ নিয়ে নানা সময়ে কটূক্তি করে বিতর্কিত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের রাজনীতি করলেও নিজ দেশেই বিতর্কিত জীবনযাপনের জন্য সমালোচিত তিনি। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের এক ব্যক্তি। সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে একদল থেকে আরেক দলে ডিগবাজি দেয়ার জন্যও ব্যাপক বিতর্কিত শুভেন্দু। ২০২০ সালে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।