এবার বাংলাদেশের কাছে বকেয়া ১৬১ কোটি রুপি পায় ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি করপোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল)। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ত্রিপুরার বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রতনলাল নাথ জানান, চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করছে টিএসইসিএল। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পর বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬১ কোটি রুপি। বকেয়া আদায়ের জন্য আমরা ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি)-এর 'বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম' (এনভিভিপি) এবং কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বাংলাদেশকে বকেয়া পরিশোধের জন্য বলেছে।’
ত্রিপুরা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রধান প্রতিষ্ঠানই হলো এনভিভিপি এবং তারাই এই প্রকল্পের অর্থ আদায়ের কাজটি করে বলে জানান মন্ত্রী রতনলাল। তিনি বলেন, ‘প্রচুর বকেয়া থাকারও থাকার পরও টিএসইসিএল বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ত্রিপুরা সরকার ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানির বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ শুরু করে। কখনো কখনো এটি ১৬০ মেগাওয়াটেও পৌঁছায়। টিএসইসিএলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘২০১৬ সালের প্রথম চুক্তির পর, আমরা পরে আরও দুইবার চুক্তি নবায়ন করেছি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য।’
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার টিএসইসিএল থেকে কমপক্ষে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করেছে, কারণ তাদের বিদ্যুৎ চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। আলাপ আলোচনা চলছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি এবং পরিষ্কার করা প্রয়োজন, চুক্তি সই এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা প্রয়োজন।’