এবার ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে চারটি জাহাজে করে ৫২ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে এসেছে। এসব তেল আমদানি করেছে বাংলাদেশের একাধিক শিল্প গ্রুপ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানিয়েছে, গত শনিবার ও আজ মঙ্গলবার দুটি করে সয়াবিন তেলবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। এসব জাহাজে টিকে গ্রুপের আমদানি করা ২৫ হাজার টন, সিটি গ্রুপের ২০ হাজার টন ও মেঘনা গ্রুপের ৭ হাজার টন সয়াবিন তেল রয়েছে।
এমটি আরডমোর শায়ানি জাহাজ থেকে তেল খালাস করা হয়েছে। জাহাজটি ইতোমধ্যে বন্দর ত্যাগ করেছে। এমটি সানি ভিক্টরি ও এমটি জিঙ্গা থ্রেশার নামের দুটি জাহাজ থেকে তেল খালাস করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অপরিশোধিত এসব তেল কারখানা থেকে পরিশোধন ও বোতলজাত হয়ে বাজারে আসতে ১৪-১৫ দিন সময় লাগবে।
তারা বলছেন, বর্তমানে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট নেই। আসন্ন রমজানেও তেলের ঘাটতি থাকবে না। এই তেল সংকটের মধ্যে গতকাল সোমবার সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন থেকে বিক্রি হবে ১৭৫ টাকায়, যা এত দিন ছিল ১৬৭ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১৫৭ টাকা।