ফের কৃষক আন্দোলনে উত্তাল হচ্ছে ভারতের পাঞ্জাব–হরিয়ানা। উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতি, কৃষিঋণ মওকুফ, বিদ্যুতের বিল না বাড়ানোসহ গত আন্দোলনে কৃষকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি চলো পদযাত্রা শুরু করেছেন কৃষকেরা। এই অভিযান রুখতে শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) পাঞ্জাব–হরিয়ানার শম্ভু সীমান্তে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
এদিন কৃষকদের দিল্লি চলো কর্মসূচি ঠেকাতে জাতীয় সড়কে কাঁটাতার দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়। পরে কৃষকদের আটকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় অচল হয়ে যায়।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, কৃষকেরা যাতে দিল্লি আসতে না পারেন, সেজন্য দিল্লি পুলিশ সীমান্তঘেঁষা বিভিন্ন প্রবেশপথে ব্যাপক তল্লাশি করা হচ্ছে। কৃষকদের মিছিলকে দিল্লি ঢুকতে দেয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তবে সরকারকে স্মারকলিপি দিতে চাইলে পুলিশ কৃষক নেতাদের উপযুক্ত পাহারায় দিল্লি নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করতে পারে।
মূলত তিন দিন আগে পার্লামেন্ট অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন কৃষকনেতারা। পরে উত্তর প্রদেশ থেকে আসা কৃষকদের দিল্লি সীমান্তে আটকে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার কৃষকনেতারা জানিয়েছিলেন, শুক্রবার তারা নতুন করে অভিযান শুরু করবেন। তা ঠেকাতে পাঞ্জাব, হরিয়ানার কোনো কোনো জেলা ও স্পর্শকাতর এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থা আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জারি থাকবে বলে বিজেপিশাসিত হরিয়ানা প্রশাসন জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কৃষক আন্দোলনের জেরে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০–২১ সালে তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কৃষকদের আন্দোলন স্তিমিত হয়নি। তারা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা চান, তবে কেন্দ্রীয় সরকার তা দিতে নারাজ। শুক্রবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় জানান, মোদি সরকার উৎপাদিত সব ফসল ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কিনে নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে সরকার যেকোনো সময়ে কথা বলতে প্রস্তুত।