এবার বোরো ধানের চারা ডুবে যাওয়ার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মামুন সরদার নামে পৌর যুবদলের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ ভুট্টু ও তার ভাইয়েদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নাটোর জেলার নলডাঙ্গায় উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের জামতলী খালের ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মামুন সরদারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামুন সরদার (৩৮) উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে। পতিপক্ষ আব্দুল মজিদ ভুট্টু উপজেলার পূর্ব সোনাপাতিল গ্রামের মৃত করিম সাকিদারের ছেলে ও নলডাঙ্গা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ২৭ নভেম্বর বুধবার বিকেলে নলডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল মজিদ ভুট্টুর জমিতে সেচ দেয়। এ সেচের পানি যুবদল কর্মী মামুন সরদারের চাচাতো ভাই বাবুর রোপণ করা বোরো বীজতলা পানি যায়। এ পানি যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মামুন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ ভুট্টুর ভাই আজাহারকে লাঠিপেটা করেন।
এ খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ ভুট্টু ও তার ভাইয়েরা এসে দেশীয় অস্ত্র চাপাতি-হাঁসুয়া দিয়ে মামুন সরদারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মামুনকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। খবর পেয়ে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এদিকে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জামতলী গ্রামের সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।