‘গুলি খেয়ে আহত হয়েও হাসপাতালে আমি বলতে পারিনি আমার নাম নাহীদ হাসান। চিকিৎসা নিতে আমাকে দিতে হয়েছিল মিথ্যা পরিচয়। ড্রেসিংয়ের সময় প্রচণ্ড চিৎকার দিয়ে উঠতাম। কারণ চিকিৎসকরা কসাইয়ের মতো ড্রেসিং করত। ব্যথা পাচ্ছি বললে আমাকে বলতেন আন্দোলনে গেছিলা ক্যান’।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের স্মরণে নওগাঁয় এক স্মরণসভায় আন্দোলনের অনুভূতি জানাতে গিয়ে এভাবেই কান্না কণ্ঠে কথাগুলো বলেন, এসব কথা বলেন আহত শিক্ষার্থী নাহীদ হাসান।
তিনি বলেন, দুঃসহ স্মৃতিগুলো থেকে এখনও তিনি বের হতে পারেনি। এখন কেবল একটিই চাওয়া দেশটা ভালো থাকুক। স্মরণসভার আয়োজন করে নওগাঁ জেলা প্রশাসন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার বড় অংশজুড়ে ছিল জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের স্মৃতিচারণ। বক্তব্য দিতে গিয়ে আহত ছাত্ররা তুলে ধরেন সেই দিনগুলির দুঃসহ স্মৃতি। তাদের বর্ণনায় উঠে আসে নওগাঁ তথা সারাদেশের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট। কান্নায় ভারি হয়ে উঠে সভাস্থল।
স্মরণসভায় জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল, সেনাবাহিনীর মেজর মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন, আন্দোলনে ঢাকায় নিহত মাহফুজুর রহমান শ্রাবণের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি, আন্দোলনে নওগাঁয় অংশগ্রহণকারী ছাত্র ফজলে রাব্বি, রিয়াদুল সালেহীনসহ অনেকেই। সভায় আহত ও নিহত পরিবারের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।