, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ , ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


বন্ধুর লেখা পোস্ট করে কী বোঝাতে চাইলেন হাসনাত

  • আপলোড সময় : ১৬-১১-২০২৪ ০১:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-১১-২০২৪ ০১:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন
বন্ধুর লেখা পোস্ট করে কী বোঝাতে চাইলেন হাসনাত
এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব থাকেন। এরই ধারাবাহিকথায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে বন্ধু সাঈদ আব্দুল্লাহর লেখা একটি স্ট্যাটাস নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি।

পোস্টে লেখা হয়, পবিত্র কোরআনের সূরা লাহাব আমি যতবার পড়েছি, ততবারই যেই ব্যাপারটা আমার মাথায় আসে— আবু লাহাবের প্রতি স্বয়ং আল্লাহ কেন এমন কঠোর অবস্থানে চলে গেলেন যে তার শাস্তির ব্যাপারে কোরআনে একেবারে ওইভাবে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়ে বলে দিলেন? “ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দুই হাত এবং সে নিজেও!"

শুধু আবু লাহাবই না, তার ইন্ধনদাতা স্ত্রীর প্রতিও কঠোর শাস্তির বর্ণনা কেন এভাবে ঘোষণা করে দিলেন? আল্লাহ একদিকে যেমন মহাপরিক্রমশালী কঠোর বিচারক, অন্যদিকে উনি তো পরম ক্ষমাশীলও। বহুক্ষেত্রে অসম্ভব রকমের ক্ষমাশীলতা উনি দেখানোর ব্যাপারে বলেছেন। ইনফ্যাক্ট, উনি ক্ষমাশীল না হলে একটা সিঙ্গেল প্রাণীও কোনোদিন কোনো রহমতের আশ্রয় পেতো না বা পাবেও না। কিন্তু সেই স্রষ্টাই কেন তাহলে আবু লাহাবের প্রতি সরাসরি এভাবে এত কঠোর ঘোষণা দিলেন?
 
সব অপরাধ বা পাপের ক্ষমা হয় না উল্লেখ করে পোস্টে আরও লেখা হয়, এ ব্যাপারে আমার জানার ভুল থাকতে পারে বা বোঝবার সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, তবে আমার একেবারেই পার্সোনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং হলো— সব অপরাধ বা পাপের ক্ষমা হয় না। বিশেষ করে যেখানে প্রচণ্ড সীমালঙ্ঘন করার পরও ওই অপরাধীর মনে কোনো অনুশোচনাবোধ বা অনুতপ্তবোধ জন্ম না নেয়।

আওয়ামী লীগের অনুশোচনা নেই উল্লেখ করে পোস্টে আরও লেখা হয়, সত্যি করে বলেন তো, আশেপাশে এমন কোনো আওয়ামী লিগার দেখেছেন যারা অনুতপ্ত? জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দুই হাজার মানুষ মেরে ফেলা, পঁচিশ হাজার মানুষকে চিরতরে মারাত্মক আহত করে ফেলা নিয়ে ন্যূনতম কোনো অনুশোচনা?  বিগত ১৫ বছরে ওরা যে হাজার হাজার মানুষকে মেরে ফেলেছে, গুম, নিপীড়ন, লুটপাট চালিয়েছে—এগুলো নিয়ে ওদের ভেতর ন্যূনতম অনুশোচনা দেখেছেন? বরং ওরা প্রতিশোধ নিতে চায় সুযোগ পেলেই। সুযোগ পেলেই তাদের অরজিনাল রূপটা বের করে ফেলতে চায়। এরা হলো এই লেভেলের অমানুষ!
 
বিচার চেয়ে লেখেন, ক্ষমা করা যায় তাদেরকে, যাদের ভেতর অনুশোচনাবোধ জাগ্রত হয়, যারা অনুতপ্ত হয়। কিন্তু যারা নিজেদের চরম অপরাধের পরও ন্যূনতম অনুতপ্ত না, এমন অমানুষদের ক্ষমা করা মানে হলো অন্যদের প্রতি অবিচার করা এবং সামনে ওদের জন্য অপরাধ করার দুয়ার উন্মুক্ত রাখা। এজন্যই আমি এদের বিচার চাই, কঠোর বিচার চাই।
 
সুরা আবু লাহাবের কথা মনে পড়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি লেখেন, স্বৈরাচারী হাসিনা ও তার সঙ্গীসাথি এবং তাদের সকল ইন্ধনদাতাদের দেখলে তাই আমার মনে হয় সুরা লাহাবের কথা। অতিরিক্ত সুশীলগিরি দেখিয়ে কেউ কেউ দেখি নরম সুরে কথা বলার চেষ্টা করে সুযোগ পেলেই। কিন্তু সবাই যে ক্ষমার যোগ্য না, এই শিক্ষাটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ, ইনফ্যাক্ট মহাগুরুত্বপূর্ণ!
সর্বশেষ সংবাদ
কারাগারে কোরআনের হাফেজ হলেন ১৩ হাজার বন্দি

কারাগারে কোরআনের হাফেজ হলেন ১৩ হাজার বন্দি