বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজের ভোট প্রদান করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী ও দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম। এসময় তিনি বলেন, ভোটগ্রহণের শুরুটা ভালো। কিন্তু শঙ্কা আছে। সিটি নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ হয়, তাহলে ফলাফল যাইহোক, তা মেনে নেব। আজ সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে নগরীর রূপাতলী হাউজিংয়ের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি ভোট দিয়ে বেড়িয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, শতভাগ নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তাই তার কথার প্রতি আস্থা রেখে আমরা অংশ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। ভোটারদের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি প্রশাসনকে বলব, ভোটাররা যে বুক ভরা আশা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসেছেন। তাদেরকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেবেন। কোনো অবস্থাতেই যেন ভোটের রেজাল্ট কারচুপি না করা হয়।
এর আগে সকাল ৮টায় বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সেখানে ভোট শুরুর আগে থেকেই ভোটকেন্দ্রে দেখা যায় ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন সাতজন। এদের মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে চারজন। তাঁরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম (হাত পাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপফুল)। বাকি তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন। তাঁরা হলেন- মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ), মো. আসাদুজ্জামান (হাতি) ও মো. কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি)।