এবার কোনো অনুষ্ঠানে কোনো প্রকার স্লোগান বা জয়ধ্বনি ব্যবহারে সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লিখিত বক্তব্য প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিবদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সব সচিবদের কাছে নয় দফা নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সরকার কর্তৃক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে যে সকল দিবস বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে, সে সকল দিবস যাতে পালিত না হয় সে বিষয়ে সরকারি কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, কোন প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণ এসেছে, অনুষ্ঠানের পেছনে কারা আছে। এসব বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নিতে প্রয়োজনে গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
বিতর্ক এড়াতে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবর্গ সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা, কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকায় থাকলে উক্ত অনুষ্ঠান পরিহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র/ব্যানার/লিফলেট/পতাকা/অন্যান্য যেকোনো ছাপানো কাগজের বর্ণনা, লোগো বা স্লোগান ইত্যাদি বিষয়ে কোনো আপত্তিকর/ বিতর্ক সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকারি কর্মচারীদের অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ের কিছু অফিসের কর্মকাণ্ডের সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা অনভিপ্রেত বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে।
এসব সমস্যা এড়িয়ে চলতেই মূলত নয় দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লিখিত বক্তব্য প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, সব ধরনের অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো স্লোগান বা জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকতে হবে।