বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুটা যতটা আলোচনার জন্ম দিয়েছিল, ঠিক ততটাই সমালোচিত হয়ে এসেছে পরবর্তী আসরগুলোতে। টুর্নামেন্টটির প্রায় প্রতিটি আসরে বিতর্ক লেগেই ছিল। দেশের জনপ্রিয় এই ক্রিকেট লিগটি হারিয়েছে নিজের জৌলুশ। বিদেশি ক্রিকেটাররাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিপিএল থেকে।
আয়োজকদের অবহেলা, দুর্নীতি, উন্নত প্রযুক্তির অভা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ম্যাচ, হারিয়েছে দর্শকও। সব মিলিয়ে জীর্ণশীর্ণ একটা অবস্থা। এমতাবস্থায় নতুন করে দর্শকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে আসন্ন বিপিএল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নতুন করে সাজাতে যাচ্ছে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটিকে। অতীতের সব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দূর করে নতুন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে বিপিএলকে ঢেলে সাজাতে চায় দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এদিকে বিপিএল নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন খোদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিপিএলের এবারের আসরটির পরিকল্পনা ও নকশায় সরাসরি যুক্ত রয়েছেন তিনি। ড. ইউনূস স্বপ্রণোদিত হয়ে বিপিএলকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। যার অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা নিজে আসরের প্রধান সঙ্গীতের (থিম সং) জন্য দুটি লাইনও লিখেছেন বলে জানা গেছে।
এবারের বিপিএল দিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে চায় আয়োজকরা। মাঠের বাইরেও এবারের আসরে বসবে তারকাদের মেলা। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের মতো বিশ্বব্যক্তিত্বের। থাকবে অভিনব সব আয়োজন। প্রচারের অংশ হিসেবে কনসার্টসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
এদিকে বিসিবি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে জানিয়েছে, বিপিএলের ১১তম আসরকে সুন্দরভাবে আয়োজন করার জন্য বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকাল বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন ফারুক আহমেদ। বিপিএলকে কীভাবে জমজমাট আসরে পরিণত করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করেছেন তারা।
বিসিবি আরও জানিয়েছে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বোর্ডকে বিপিএল নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন প্রধান উপদেষ্টাও। সবমিলিয়ে সরকারের নয়টি মন্ত্রণালয় এবারের বিপিএলে সরসরি সম্পৃক্ত থাকবে বলে জানা গেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএল, ফাইনাল হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। এই টুর্নামেন্টে পুরোপুরি ই-টিকিটের ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।