, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


আগামীতে পাটের নাম হবে গোল্ডেন ফাইবার অফ বাংলাদেশ: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

  • আপলোড সময় : ০৫-১১-২০২৪ ১০:২৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-১১-২০২৪ ১০:২৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
আগামীতে পাটের নাম হবে গোল্ডেন ফাইবার অফ বাংলাদেশ: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
এবার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, 'আগামীতে পাটের নাম হবে 'গোল্ডেন ফাইবার অফ বাংলাদেশ'। সবকিছুই হচ্ছে। এখন যদি আপনারা বলেন দুই মাসের মধ্যে আলাদীনের চেরাগের মতো সবকিছু চকচকে হয়ে যাবে, বিষয়টা তা না।

গতকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দায় নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ (ডিইডব্লিউ) এবং ডিইপিটিসি-তে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'আমাদের প্রত্যেকটি জায়গাতে অনেক জঞ্জাল তৈরি হয়েছে। এই জঞ্জাল পরিষ্কার করতে করতেই এতোদিন চলে গেলো। এখন মনে করি পুরোপুরি জঞ্জাল ছুটানো যায় নি। তবে আমি যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছি, আমি চাচ্ছি ভালো করে কাজ করে ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু রেখে যাওয়ার।'

পাটের ব্যাগ চালু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমাদের পরিবেশ উপদেষ্টা অত্যন্ত সচেতন একজন ব্যক্তি। তাকে মন্ত্রণালয়ে পাওয়া যায় কম। বাহিরেই বেশি থাকেন। তার সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা পলিথিন নিষিদ্ধ নিয়ে কাজ করছি। আমরা পাটের ব্যাগ পুনরায় সর্বত্র চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে করে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা উপকৃত হবেন।'

নদী দলমুক্ত প্রসঙ্গে এই নৌপরিবহণ উপদেষ্টা বলেন, 'বন্দর, সিপোর্ট, বড় বড় নদী পোর্ট, বেশ কিছু স্থলবন্দর এখানে বেশ অনিয়ম আছে। এতে কোন সন্দেহ নেই। এগুলো আমরা আস্তে আস্তে দূর করার চেষ্টা করছি। অনেকে বলে কয়েকজন মিলে দখল করে রেখেছে। গণমাধ্যমেও এটি এসেছে। এগুলো দখলমুক্ত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি যেন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। পার্টিকুলার কারো হাতে যেন না থাকে। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা সরকারি কোন কিছু চালাতে দেন নি। এতে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরা সবকিছু নিয়েই কাজ করছি।'

উপদেষ্টা বলেন, এই নারায়ণগঞ্জ শিপইয়ার্ড নেভি কর্তৃক পরিচালিত। এখানকার কাজ অত্যন্ত শৃঙ্খল ও উন্নতমানের। এখানে বুয়েট ও এমআইএসটি থেকে স্টুডেন্টরা আসে। এটি আরও কীভাবে উন্নত করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো।  বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ হল সন্দীপ। আমাদের লক্ষ্য সন্দীপের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা। ডিসেম্বরে শেষে বা জানুয়ারির শুরু দিকে এই ফেরিগুলো নামবে।'

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অ্যাসিস্টেন্ট চিফ অফ নেভাল স্টাফ'র রিয়ার অ্যাডমিরাল খন্দকার আকতার হোসাইন, কমোডর জাহাঙ্গীর আদিল সামদানী, নৌ-পরিবহনের মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জাহিদুল ইসলাম, উপসচিব কাজী আরিফ বিল্লাহ, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার বণিক ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
সর্বশেষ সংবাদ
বাংলাদেশি মসজিদ বন্ধ করে দিল মালয়েশিয়া

বাংলাদেশি মসজিদ বন্ধ করে দিল মালয়েশিয়া