, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


মিয়ানমারে বিস্ফোরণের শব্দে টেকনাফের ২৫ ঘরে ফাটল 

  • আপলোড সময় : ২০-১০-২০২৪ ১০:১৮:২১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-১০-২০২৪ ১০:১৮:২১ পূর্বাহ্ন
মিয়ানমারে বিস্ফোরণের শব্দে টেকনাফের ২৫ ঘরে ফাটল 
এবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে মর্টার শেলের গোলাবর্ষণের পাশাপাশি যুদ্ধবিমান থেকেও বোমা ফেলা হচ্ছে।

এর ফলে সৃষ্ট প্রচণ্ড ভূকম্পনে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের আছারবুনিয়া গ্রামে অন্তত ২৫টি ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এতে বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকে এ এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের বিপরীতে সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের অবস্থান। মধ্যখানে চার কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদী। সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে তারা অন্তত দেড় শতাধিক মর্টার শেলের বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।

গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে কমপক্ষে ২০০টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। যুদ্ধবিমান ও আকাশ থেকে বোমা ফেলেছে।
 
স্থানীয় বাসিন্দা জাহেদ উল্লাহ বলেন, প্রায় কয়েক মাস ধরে এখানকার বাসিন্দাদের চোখে ঘুম নেই। গতরাতে ভয়ংকর বোমার শব্দে কাঁপুনিতে এলাকার প্রায় ২০-২৫টি সেমিপাকা টিনশেড ও মাটির দেয়ালে বড় ফাটল ধরেছে। এখন এসব ঘরে বসবাস করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাইট্যংপাড়া, কায়ুকখালীয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কুলালপাড়া, শীলবনিয়াপাড়া, খানকার ডেইল, ডেইলপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, সাবরাংয়ের মগপাড়া, পানছড়িপাড়া, আছারবনিয়া, লেজিরপাড়া, ডেগিল্ল্যাবিল, ঝিনাপাড়া, শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া, ক্যাম্পপাড়া, বাজারপাড়া ও মিস্ত্রিপাড়ার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনবরত গোলাগুলির বিকট শব্দে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা।

সাবরাং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ শরীফ বলেন, নির্ঘুম রাত পার করেছেন স্থানীয় লোকজন। রাত হলে মানুষের আতঙ্ক বেড়ে যায়। ওপারের বিস্ফোরণে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নসহ কয়েকটি গ্রামে লোকজনের ঘরবাড়িতে ফাটল ধরছে জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, আতঙ্কে সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। তাদের নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হচ্ছে। রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।


অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সতর্ক থাকার তথ্য দিয়ে ইউএনও আদনান চৌধুরী জানান, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
 
দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস