এবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী সমর্থক দুজন শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়ায় নিজের সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশচন্দ্র রায়।
তার দাবি, রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও তাকে জোর করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি বানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এদিকে কমলেশ চন্দ্র জানান, দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না তিনি। তার সহকর্মী গণিত বিভাগের শিক্ষক ও আবু সাঈদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মশিউর রহমানের জোরাজুরিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হন। তবে তিনি জানতেন এটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন।
এ সময় তাকে ৫ আগস্টের আগে আন্দোলনের পক্ষে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় নন বলে আন্দোলনের সমর্থনে কোনো মন্তব্য করতে পারেননি বলে জানান।
কমলেশচন্দ্র রায় বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে আজ থেকে তিনি আর জড়িত নয়। পরিশেষে জুলাই বিপ্লবের প্রথম শহীদ আবু সাইদসহ শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে, তাদের হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
এর আগে, ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এদিন মঞ্চে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কমলেশ চন্দ্র রায় ও কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফকে সম্মাননা দেওয়ায় আপত্তি তোলেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে তাদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার উসকানিদাতা ও ফ্যাসিবাদের দোসর এই দুই শিক্ষক। এ অভিযোগ শোনার পর নিজের সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেন তথ্য উপদেষ্টা।