আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সারাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই সব অঞ্চলেই কম বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুধুমাত্র ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হয়নি। এমন তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিকুল নেওয়াজ কবির।
এই বৃষ্টিতে দীর্ঘ অপেক্ষা এবং তাপদাহের পর টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বৃষ্টির ছোঁয়া পেলো রাজধানীবাসী। তীব্র গরম এবং লোডশেডিং থেকে কিছুটা মুক্তির জন্য যেখানে রাজধানীবাসী অপেক্ষা করছিল বৃষ্টির জন্য। তখন টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বৃষ্টি অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। বৃষ্টির এ ধারা অব্যহত থাকতে পারে আরও দু’দিন।
এদিকে দীর্ঘ অপেক্ষা এবং তাপদাহের পর টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বৃষ্টির ছোঁয়া পেল রাজধানীবাসী। তীব্র গরম এবং লোডশেডিং থেকে কিছুটা মুক্তির জন্য যেখানে রাজধানীবাসী অপেক্ষা করছিল বৃষ্টির জন্য। তখন টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বৃষ্টি অনেকটাই স্বস্তিদায়ক।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, সেই সাথে মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে পৌঁছে গেছে। লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর মিলিত প্রভাবের কারণে গতকাল ৮ ই জুন থেকে দেশব্যাপী বৃষ্টিপাত হচ্ছে যা ১১ ই জুন পর্যন্ত অব্যহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। ফলে এটি লঘুচাপ কিংবা আরও দুর্বল হয়ে সাধারণ বৃষ্টিপাত আকারে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপর দিয়েই স্থল ভাগে প্রবেশ করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে আর আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে।’’
দেশে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সৈয়দপুরে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং নিকলিতে সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত আরো অগ্রসর হতে পারে।