, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


রাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহের পাশে মিলল আবেগঘন চিরকুট

  • আপলোড সময় : ০৯-০৬-২০২৩ ১০:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৬-২০২৩ ১০:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন
রাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহের পাশে মিলল আবেগঘন চিরকুট
এবার ছাত্রাবাস থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ৮ জুন দিবাগত মধ্যরাতে বিনোদপুরের স্টুডেন্ট প্যালেস ছাত্রাবাস থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। চিরকুটে লেখা, ‘একাকিত্বই আমাকে গিলে খেল।’

জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর নাম তানভীর ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নীলফামারী জেলার সদর থানার কাঞ্চন পাড়া এলাকায়। পিতার নাম আবু বকর সিদ্দিক।

জানা গেছে, সন্ধ্যা থেকে রুমের দরজা বন্ধ করে অবস্থান করছিলেন তানভীর। রাতে বাড়ি থেকে যোগাযোগ করতে না পেরে তার বাবা মেস মালিককে খোঁজ নিতে বলেন। তখন দরজায় কড়া নেড়ে কোন সাড়া পাননি তিনি। পরে জানালা দিয়ে দেখলে তাকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে একটা চিরকুটও রেখে গেছেন ওই শিক্ষার্থী। সেই চিরকুটে তার মানসিকভাবে হতাশার কথা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আমরা দড়ি দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পেয়েছি। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটা চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা করেছেন বলে লেখা রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আমরা তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব।

এ ব্যাপারে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গেলে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ময়না তদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এখনো আমরা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পারিনি। সঠিক কারণ জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত সেই চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’ ‘প্রিয় বাবা-মা, আপনাদের অনেক ভালোবাসি। জানি না কোথায় কমতি ছিল। আম্মুর জন্য বেশি খারাপ লাগতেছে। আমাদের ফ্যামিলিটায় আম্মুর অবদানটাই আমি বেশি মনে করি। কথাটা বলার অনেক কারণ, সেগুলো হয়তো আব্বুও জানে।

তোমাদের জন্য কিছুই করতেতো পাড়লামই না, উল্টো ফামিলিটাই শেষ করলাম। ছোট বোনটার কথা আর বললাম না। কান্না পাচ্ছে। দিনের পর দিন আপনাদের ঠকায় গেছি। এসব আপনারা জানতে পারলে হয়তো ভেতর থেকেই মরে যেতেন। সবসময় ভয়ে ভয়েই থাকতাম, গলা দিয়ে খাবার নামতো না।

বেশি বাড়াব না আর, যে হারায় সেই হারানোর যন্ত্রণাটা বুঝে, আর কেউ না। শেষ করলাম সবকিছু। এ সব কিছু থেকে বাঁচার জন্যই এই সিদ্ধান্ত, আর কোনো উপায় ছিল না আমার কাছে। শেষশেষ একাকিত্বই আমাকে গিলে খেল। মনের শক্তি ফুরিয়ে এলে দেহের শক্তি যতোই থাক, সম্ভব না বাঁচা। যদিও ক্ষমার যোগ্য না আমি, পাড়লে ক্ষমা করে দিয়েন। আপনাদের অযোগ্য সন্তান।’
সর্বশেষ সংবাদ
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বৃদ্ধি পাবে: তারেক রহমান

নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বৃদ্ধি পাবে: তারেক রহমান