, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধে আইনি নোটিশ

  • আপলোড সময় : ২২-০৯-২০২৪ ০৩:৩১:০৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৯-২০২৪ ০৩:৩১:০৯ অপরাহ্ন
ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধে আইনি নোটিশ
এবার ভারতে ৩০০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতির প্রতিবাদে সরকারের দায়িত্বশীলদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রফতানি কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) আইনি নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে ইলিশ রফতানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। আইনি নোটিশে বলা হয়, ভারতের বিশাল ও বিস্তৃত সমুদ্র সীমা রয়েছে। ভারতের জলসীমায় ব্যাপকভাবে ইলিশ উৎপাদন হয়। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ মাছ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে।   

বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্ট ও মাছ রফতানিকারকরা সারা বছর ধরে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ ভারতে রফতানি ও পাচার হ‌ওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার নদীর ইলিশ পায় না। ফলে দেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশের মতো সুস্বাদু নয়।

আরও বলা হয়, বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে যে সীমিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়, তা বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট নয়। এই অবস্থায় যদি পদ্মার সব ইলিশ ভারতে চলে যায় তাহলে বাংলাদেশের জনগণ পদ্মার ইলিশ খেতে পারবে না।

এভাবে বাংলাদেশের জনগণকে পদ্মার ইলিশ থেকে বঞ্চিত করে ভারতের জনগণকে পদ্মার ইলিশ খাওয়ানো বাংলাদেশের সরকারের জন্য সমীচীন নয়। এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস ভারত থেকে আমদানি করে কিন্তু ভারত সরকার কখনোই তার নিজের দেশের জনগণের চাহিদা না মিটিয়ে বাংলাদেশে রফতানি করে না ।

এদিকে বাংলাদেশের রফতানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রফতানিযোগ্য কোনো মাছ নয়। এমতাবস্থায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারতে ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
দীর্ঘ ৮৩ দিন পর ক্লাসে ফিরে খুশি ঢাবি শিক্ষার্থীরা

দীর্ঘ ৮৩ দিন পর ক্লাসে ফিরে খুশি ঢাবি শিক্ষার্থীরা