এবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আদিবাসীদের ও বাঙালিদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বাজারে আগুন দেয়া ও গোলাগুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।
এদিকে নিহতদের মরদেহ খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আহত ৯ জনের মধ্যে ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় আদিবাসী ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে (আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টা) জেলা শহরের নারানখখাইয়া, স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে তা কেউ নিশ্চিত করেনি।
এরপর রাতেই ১২ জনকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরমধ্যে জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা। তিনি জানান, গুরুতর আহত ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। আহতদের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ। নিহতদের মধ্যে জুনান চাকমা ও রুবেল এর বাড়ি খাগড়াছড়ি সদরে এবং ধনঞ্জয় চাকমার বাড়ি দীঘিনালায় বলে জানা গেছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, তিনি মারা যাওয়ার খবর শুনেছেন। কীভাবে মারা গেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল বাতেন মৃধা ৩ জন নিহতের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, খাগড়াছড়ি সদরে বুধবার চুরির অভিযোগে মো. মামুনকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালায় বাঙ্গালী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। এসময়ে পাহাড়ি ছাত্রদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার দীঘিনালায় দু’পক্ষের বিরোধের জেরে সেখানে লারমা স্কয়ারের বাজারে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। তাতে ৫০টির বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়। আহত হন ৫জন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।