এবার পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ১ জুলাই থেকে এপর্যন্ত অন্তত ৬০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে পাঞ্জাবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়া, সিন্ধু ও বেলুচিস্তান। আরও কয়েকদিন সিন্ধু, বেলুচিস্তান এবং পাঞ্জাবের কিছু অংশে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি অংশে আরো বৃষ্টির পাশাপাশি ভূমিধস হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় আসনা ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে আরো অগ্রসর হওয়ার পর দুর্বল হয়ে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, বৃষ্টি কমে আসায় ভারতের তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে এখনও শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৪ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ।
দেশটির দক্ষিণে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গে। এছাড়া ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ।