, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ, বেকার হয়ে পড়েছেন হাজারো শ্রমিক

  • আপলোড সময় : ২৮-০৮-২০২৪ ০৪:২৯:৫২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৮-২০২৪ ০৪:২৯:৫২ অপরাহ্ন
ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ, বেকার হয়ে পড়েছেন হাজারো শ্রমিক
এবার রাজস্ব বিভাগের অসহযোগিতাসহ বিভিন্ন কারণে গত এক বছর ধরে শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রাজস্ব কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশনা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এই জটিলতা। তাই বাধ্য হয়ে বাড়তি খরচে ভুটান থেকে নিম্নমানের পাথর এনে লোকসান গুনছেন তাঁরা। এতে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা, অন্যদিকে বেকার হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। আর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

এক সময় ভারত থেকে কয়লা ও পাথর আসতো শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে। তখন কর্মচাঞ্চল্য ছিল এ বন্দরে। এরপর এক সময় কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যায় এ বন্দরে। এবার বন্ধ হলো ভারত থেকে পাথর আমদানি। তাই আগে যেখানে ভারত ও ভুটান থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক আসত, এখন শুধু ভুটান থেকে প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১৫টি ট্রাক পাথর আসছে।

এদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভারতীয় নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ট্রাকে যে পরিমাণ পণ্য পরিবহন করার কথা, তার চেয়ে ৬ টন বেশি পণ্য পরিবহন করতে গত বছর মৌখিক নির্দেশনা দেয় জেলার রাজস্ব বিভাগ। আর এ কারণেই ভারত থেকে পাথর আমদানি করতে পারছেন না দেশের ব্যবসায়ীরা। ফলে গেল অর্থ বছরের গোড়ার দিকে এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সকল পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

ব্যবসায়ীরা জানান, আগে ৬ চাকার ট্রাকে ৯ টন, ১০ চাকার ট্রাকে ১৫ টন, ১২ চাকার ট্রাকে ১৯ টন ও ১৪ চাকার ট্রাকে ২৪ টন পণ্য পাথর আমদানি করলেও জেলার রাজস্ব কর্মকর্তা প্রতি ট্রাকে বাড়তি আরো ৬ টন পণ্য আনার মৌখিক নির্দেশনা দেন। কিন্তু ভারতের ব্যবসায়ীরা বাড়তি পণ্য না দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আমদানি। এতে বাধ্য হয়ে প্রায় সাড়ে ৪০০ কিলোমিটার দূরুত্বের ভুটান থেকে বাড়তি খরচে তুলনামূলক নিম্নমানের পাথর আমদানি করে লোকসান গুনছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন স্থলবন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারত থেকে পাথর, সুপারি, ফলমুল ও ফ্লাই অ্যাশসহ অন্যান্য পণ্য আনার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকেরা। নাকুগাঁও স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল অভিযোগ করে বলেন, ভারতীয় পণ্য আমদানি বন্ধে সরাসরি রাজস্ব কর্তৃপক্ষ দায়ী। 

তবে ভারতীয় পণ্য আমদানি বন্ধ হওয়ার পেছনে সড়কের নাজেহাল অবস্থাকে দায়ী করেছেন শেরপুরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাটের সহকারি কমিশনার ফরিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে দায়িত্বে আসার পর থেকেই পাথর আসছে। সেটা ইন্ডিয়ান না ভুটানের সেটি আমি জানি না। ব্যবসায়ীরা কেন ইন্ডিয়ান পাথর আনছেন না, তা তারাই বলতে পারবেন। আর অন্য যেসব পণ্য আনার অনুমোদন আছে সেগুলো তারা আনতে পারেন।’ 

এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে নাকুগাঁও স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আদায় হয়েছে প্রায় পৌণে ৬ কোটি টাকা। আর সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ৭১ লাখ টাকা। 
ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ছেড়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ছেড়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস