এবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ঢামেকে হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেখতে শত শত মানুষ আসছেন। তাকে অবজারভেশনে রেখে বিশ্রাম নিশ্চত করা দরকার। কিন্তু কেউ কথা শুনছে না। তাই তাকে ঢামেক থেকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে তাকে ঢামেক থেকে সিএমএইচের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসনাত আব্দুল্লাহ শঙ্কা মুক্ত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ঢামেক পরিচালক বলেন, আরও ৪৮ ঘণ্টা তাকে অবজারভেশনে রাখতে হবে। তারপর বলা যাবে শারীরিক অবস্থা।
গতকাল রোববার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) নিয়ে আসা হয়।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সচিবালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে ওয়ানস্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) তার চিকিৎসা চলছে। সচিবালয়ে অবরুদ্ধ থাকায় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জরুরি বিভাগের ওসেকে তাকে অক্সিজেন লাগিয়ে রাখা হয়েছে।
এর আগে, (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে- স্বৈরাচারী শক্তি আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করে সবাইকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে একত্র হওয়ার আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। হাসনাত আব্দুল্লাহ স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘সবাই রাজুতে আসেন। স্বৈরাচারী শক্তি আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে। দাবি মানার পরও আমাদের সবাইকে সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে।’