, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


৫০০ টন ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে শায়খ আহমাদুল্লাহ

  • আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০৩:১৪:৪৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০৩:১৪:৪৮ অপরাহ্ন
৫০০ টন ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে শায়খ আহমাদুল্লাহ
এবার আকস্মিক বন্যায় ৬ জেলায় মোট ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৩টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৮ জন। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও নৌবাহিনী যোগ দিয়েছে। ফেনীতে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে উদ্ধার সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। 

এদিকে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার ও সহায়তায় ৫০০ টন ত্রাণ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তিনি বলেন, ৫০০ টন ত্রাণ প্রস্তুতির কাজ চলছে। তিনি জানান, গতকাল তাৎক্ষণিক ১০ টন খেজুর, ১০ টন চিড়া, ৫ টন চিনি, ৫ টন লবণ ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আমাদের তিনটি ট্র্যাক ফেনীর উদ্দেশে চলে গেছে। আজ ও কাল সেসব মালামাল পাঁচ হাজার পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হবে ইন শা আল্লাহ।
 
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এখন রান্না করার পরিস্থিতি নেই, এজন্য প্রথম ধাপে আমরা ৫ হাজার পরিবারকে ২ কেজি খেজুর, ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি লবণ ও ১ কেজি চিনি করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উদ্ধার তৎরতা, যা প্রশিক্ষিত ও সংশ্লিষ্ট ইকুইপমেন্ট ছাড়া সম্ভব নয়। এ কাজটি বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীসহ অনেকে ইতোমধ্যে করছেন। স্থানীয়ভাবেও যার যার জায়গা থেকে সবাইকে উদ্ধার কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।

এদিকে ধারাবাহিকভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আমরা আরও ৩৫ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো ও ভারী ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করছি। যার জন্যে ৫০০ টন মালামাল কেনার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছি। যার মধ্যে আছে, ২০০ টন চাল, ২০ হাজার বোতল তেল (২ লিটারের) ৩০ টন খেজুর, ৩০ টন চিড়া, ৪০ টন ডাল, ২৭.৫ টন লবণ, ১৫ টন চিনি, ২০ হাজার পিস পানির বোতল (৫ লিটারের) এবং দেড় লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মোমবাতি ও দিয়াশলাই। এসব মালামাল ঢাকায় প্যাকেজিং হবে কাল সকাল থেকে ইন শা আল্লাহ।

প্যাকেজিংয়ের কাজে যারা স্বেচ্ছাসেবা দিতে চান, কাল সকাল সাতটা ও বিকেল তিনটায় (যার যার সুবিধা অনুযায়ী দুই শিফটে) মাদরাসাতুস সুন্নাহর মাঠে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের আফতাবনগর কার্যালয় থেকে পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে।
সর্বশেষ সংবাদ