এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দিকেই যেন এখন সব নজর। গতকাল মধ্যরাতে দুই দফায় গণমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছিল বিসিবি। তাদের এই অপেশাদার আচরণ সাংবাদিকদের যতটা না বিষ্মিত করেছে, তারচে বেশি ছিল ক্ষোভ। এর আগেও বেশ কয়েকবারই এমন গভীর রাতে এমন মিডিয়া রিলিজ পাঠিয়েছিল তারা। গতকাল মঙ্গলবার সারাদিন ধরেই আলোচনায় ছিল বিসিবির আজকের বৈঠক। মধ্যরাতের পর সেটাই নিশ্চিত করেছে বিসিবি।
তবে বিষ্ময় কেবল এখানেই না, ছিল আরও এক জায়গায়। সাধারণত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বৈঠকগুলো হয় মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির নিজস্ব অফিসে। কিন্তু এবারে বৈঠক সরিয়ে নেয়া হয়েছে সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স কক্ষে। রাত ১২টা ১১ মিনিটে গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো বার্তায় এটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় শুরু হবে বৈঠক। ঠিক একই সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দল পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এই বৈঠক ঘিরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ নিরাপত্তাও চেয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। মিডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে এই গুরুত্বপূর্ণ সভার জন্য একটি নিরাপদ স্থান বরাদ্দ করার অনুরোধ জানিয়েছে বিসিবি।
এর ঠিক পরের বিজ্ঞপ্তিতেই জানানো হয়েছে, এবারের বৈঠকে ভিডিও ফুটেজ বা ছবি নেয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না। গণমাধ্যমের জন্য পর্যাপ্ত ছবি এবং ফুটেজ বিসিবিই পরবর্তীতে সরবরাহ করবে। এমনকি প্রতিবার বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনের রীতি থাকলেও সেই পথে এবার হাঁটছে না বিসিবি। মিডিয়া রিলিজের মাধ্যমেই জানানো হবে বৈঠকের সিদ্ধান্ত।
এদিকে লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অভিভাবকের ভূমিকায় এককভাবেই ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ডের গঠনতন্ত্র মেনে দুজন সহ-সভাপতি থাকার কথা থাকলেও নিজের মেয়াদে এই পদে কাউকেই নিয়োগ দেননি তিনি। রাজনৈতিক পালাবদলের পর পাপনের অনুপস্থিতিতে তাই ক্রিকেট বোর্ডের কার্যক্রমে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
আজকের মিটিংয়ে থাকবেন পাপনও। তবে অনলাইনে থাকতে পারেন তিনি। আর এদিনই সিদ্ধান্ত হতে পারে বিসিবির নতুন সভাপতি কে হবে সেটা নিয়ে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৯ পরিচালকের উপস্থিতি আবশ্যক। ক্রিকেট বোর্ডের ভবিষ্যতটা অনেকাংশে নির্ভর করবে আগামীকালের এই বৈঠকের ওপর।