এবার মাত্রাতিরিক্ত ব্যাংক ঋণসহ নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ। এখন সামনে আসছে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকা এই গ্রুপের পাহাড়সম অনিয়ম-দুর্নীতি।
এদিকে ব্যাংকখাতে পুকুরচুরির মতোই বেরিয়ে আসছে এস আলম গ্রুপের ভ্যাট ফাঁকি। গ্রুপটির ৩টি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের নামে ৩ বছরেই ফাঁকি দেয়া হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬শ ৭৯ কোটি টাকা।
নথিপত্র অনুযায়ী, ২০১৯-২০ থেকে ২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ফাঁকি দিয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯শ ১৭ কোটি টাকা। একই সময়ে এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের ফাঁকি প্রায় ১ হাজার ৬শ ২২ কোটি টাকা। চেমন ইস্পাত ফাঁকি দেয় ১শ ৪০ কোটি টাকা।
এদিকে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে দেয়া প্রতিবেদন আর ক্রয়-বিক্রয়ের চিত্রের গরমিল থেকে মিলেছে ফাঁকির এ ভয়াবহ চিত্র। এ অপরাধে জরিমানাসহ প্রায় ৭ হাজার ২শ কোটি টাকা পরিশোধে গড়িমসি চালিয়ে যাচ্ছে এস আলম গ্রুপ।
এমন বাস্তবতায় প্রাপ্য রাজস্ব আদায়ে কঠোর হবার কথা বলছেন ভ্যাট কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান। শুধু তাই নয়, এস আলম গ্রুপের ভ্যাট নিবন্ধিত ১২টি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তাছাড়া ব্যাংক ঋণের সুবিধাসহ নানা কারণে তৈরি করা নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারেও তদন্তের কথা জানান এই কর্মকর্তা। তবে এসব বিষয়ে এস আলম গ্রুপের কারও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।