অবশেষে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট সরকারের পতন হয়েছিল বাংলাদেশে। এবার যেন একই কায়দায় এগোচ্ছে পাকিস্তানও। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান। এই কারণে দেশটিজুড়ে ইন্টারনেট ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারছেন না নেটিজেনরা। কোথাও ইন্টারনেটে ধীরগতি, কোথাও বা আবার বন্ধ রয়েছে।
ইন্টারনেট সরবরাহকারীরা বলছেন, সরকারের কড়াকড়ি নজরদারির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি দেশটির শীর্ষ সাইবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ)। এদিকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানে অবস্থান করছে।
একই ভাবে বাংলাদেশ ‘এ’ দলেরও অবস্থান পাকিস্তানে। মোবাইল ইন্টারনেটসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে সফরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। পাকিস্তানে অবস্থানরত ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তাদের পরিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শরণাপন্ন হয়েছেন। বিসিবি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের ফোন করে পাকিস্তানের অবস্থা জানতে চাইছেন তারা।
বিসিবির একটি সূত্র দেশের একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, কয়েকজন ক্রিকেটারের পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমাদের দল নিরাপদে আছে। আপাতত স্থানীয় নম্বর দিয়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কেউ কেউ ভিপিএন দিয়েও চেষ্টা করছেন। আপাতত শঙ্কার কিছু নেই।
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান যাওয়ার কথা ছিল ১৭ আগস্ট। কিন্তু দেশে অনুশীলনের পরিস্থিতি না থাকায় ১২ আগস্ট উড়াল দেয় দল। ১৪ আগস্ট আনুষ্ঠানিক অনুশীলনও করে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ২১ আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ৩০ আগস্ট করাচিতে হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।