বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত তাপপ্রবাহের মধ্যে লোডশেডিংয়ে নাকাল সাধারণ মানুষ। শহরাঞ্চলে সহনীয় হলেও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত। এ অবস্থায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। এ ছাড়া বিদ্যুতের অভাবে আউশ ক্ষেতে সেচ দিতে না পারায় নষ্ট হচ্ছে ফসল।
গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা বিভাগসহ বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটও। এদিকে যশোরে গরমে জন-জীবন অতিষ্ঠ। রাতের বেলাতেও বিদ্যুৎ না থাকায় নির্ঘুম রাত কাটছে স্থানীয়দের।
ভুক্তভোগী খুলনার রামায়ন বলছেন, প্রচন্ড তাপদাহ আর ভ্যাসপা গরমে ক্রমাগত লোডশেডিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার। একই অবস্থা কুষ্টিয়াতেও। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের। নাটোর ও চুয়াডাঙ্গায় প্রচণ্ড গরমে চরম ভোগান্তিতে শিশু ও বয়স্করা।
চুয়াডাঙ্গার সাহাব উদ্দিন বলেন, প্রচন্ড গরম আর লোডশেডিংয় স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে প্রভাব পড়েছে মেহেরপুরের ফসলের মাঠে। জমিতে সেচ দিতে পারছেন না কৃষক। ফেটে চৌচির আউশের ক্ষেত। কৃষক জাহিদ জানান, তার এলাকায় প্রতিদিন অন্তত ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।
এতে সেচ কাজে বিঘ্ন ঘটছে প্রতিদিন। যার ফলে ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। অসহনীয় গরম আর লোডশেডিংয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজশাহীর জন-জীবনে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান জানিয়েছেন, তাপপ্রবাহের যন্ত্রণা সইতে হবে আরও কয়েকদিন।