এবার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ বলেছেন, আমাদের বিশ্বাস পুলিশ বাহিনী আবারও ঘুরে দাঁড়াবে। সাধারণ জনগণের কিন্তু দিন শেষে পুলিশ বাহিনীকে লাগবে। সেনাবাহিনীকে আপনাদের দরকার নেই, সেনাবাহিনী দেশ রক্ষায় ব্যস্ত। পুলিশ হচ্ছে আমাদের জনগণের বন্ধু। গতকাল রোববার (১১ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরা জেলার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ বলেন, আপনারা জানেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মবিরতি চলছে। এ কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন অঞ্চলে আমাদের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। পুলিশ বাহিনী আবারও ঘুরে দাঁড়াবে। উনারা আছেন থানায়, তবে সেভাবে তারা কাজ করছেন না। আমাদের বিশ্বাস তাদের দপ্তরের নির্দেশে তারা পূর্ণভাবে আবারও কাজ শুরু করবেন। আমরা যারা সাধারণ জনগণ, আমাদের কিন্তু দিন শেষে পুলিশ বাহিনীকে লাগবে।
যেকোনো কারণেই হোক আমাদের একটা খারাপ সম্পর্ক হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছাত্র আন্দোলনের বিনিময়ে অনেক ত্যাগ এবং রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা নতুনভাবে শুরু করতে যাচ্ছি এবং এটার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ছাত্রদের। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ শব্দ বলার স্বপ্ন দেখছি। সেই স্বপ্নের সঙ্গে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হব। আমরা কাউকে ফেলে দিতে চাইছি না। আমরা সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা সেনাবাহিনী আপনাদের সঙ্গে আছি। আগেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। আমরা চাইছি আপনাদের সবার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে। আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নেয় দেশকে রক্ষা করার জন্য, আর পুলিশ একটি সমাজ সুন্দরভাবে চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। আমরা পুলিশ ভাইদের বলেছি আমরা আছি ওনাদের সঙ্গে। আমরা প্রত্যেকটি থানায় এখন আর্মিকে প্রয়োগ করেছি। উনাদের সাহস দিচ্ছি, চেষ্টা করছি। আপনারা যারা জনগণ রয়েছেন আপনাদেরও সহযোগিতার প্রয়োজন। আমরা সবাই বুঝতে পেরেছি আমাদের কোনো কোনো জায়গায় ভুল ছিল।
সেনাবাহিনীর এই মেজর বলেন, জেলায় আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য সেনা সদস্য ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে। থানাকে আগে মানুষের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী যৌথভাবে মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করবে। আমরা এসেছি নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য। সর্বাবস্থায় সামাজিক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে হবে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।