এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করার পর সরকারি সব দপ্তরের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ উপমন্ত্রীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। সেই সঙ্গে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও বদলি করা হচ্ছে। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ইসি ভবনে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগ করতে আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এজন্য ভবনের বাইরের দেয়ালের সামনে ছাত্র-জনতার ব্যানার সাটানো হয়। ব্যানারে লেখা হয় ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা হত্যা এবং গণহত্যার দায়ে সব নির্বাচন কমিশনারকে পদত্যাগের করতে হবে’।
গত দুইদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল অফিস না করলেও আজ তিনি অফিস করেছেন। তবে তিন নির্বাচন কমিশনার অফিস করেননি। সিইসি দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন ভবনে আসেন এবং চলে যান বিকেল ৩টার দিকে। এ ছাড়া, নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান পুরো সময় অফিস করেন। তবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান অফিস করেননি।
গত সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর মঙ্গলবার সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার, সচিব, অতিরিক্ত সচিব নির্বাচন ভবনে আসেননি। তবে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হামলা আতঙ্কে ভবনের নিচে নেমে আসেন। পরে দুপুর একটার আগেই সবাই চলে যান। পরদিন বুধবার সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান অফিসে আসেননি।
তবে ওইদিন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা অফিস করেন। এসেছিলেন ইসি সচিব শফিউল আজিম ও অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থাপনা, থানায় হামলার আতঙ্ক এখনো মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে। পুলিশ এখনো কাজে যোগ দেয়নি। সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দেখা গেছে ছাত্রদের।