এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে গতকাল দুপুরে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর বিকেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। পরে রাতে প্রায় ১৩ বছর বন্ধ থাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতারা।
এ সময় গেটের সামনে দাঁড়িয়ে একজন উচ্চস্বরে আজান দেন ও পরে মোনাজাত করা হয়। জানা গেছে, রাতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ নেতারা কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে ভিডিও বার্তায় দেশবাসী ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কথা বলেন জামায়াতের আমির।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ২০০৯ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়। প্রেক্ষিতে জোরালো হয়ে ওঠে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি। এরপর গত ১৫ বছরে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে সম্প্রতি কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সহিংস হওয়ার পেছনে বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করে ধর্মভিত্তিক দলটি নিষিদ্ধের বিষয়ে একমত হন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।
পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হয় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি। এর এক সপ্তাহ পার না হতেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রায় ১৩ বছর ধরে বন্ধ থাকা জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন সরগরম হয়ে উঠেছে।